১ মার্চ জঙ্গলমহল বনধের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা। পুরুলিয়ার বাগমুন্ডি থানা এলাকায়, রবিবার রাতে খুন হওয়া রিমিল এবং বিপ্লব সহ অন্যান্য নেতাদের মৃত্যুর প্রতিশোধের দাবিতে মাওবাদীদের নাম সম্বলিত পোস্টার। পোস্টারে বলা হয়েছে, সরকারি ভাতা ও চাকরির লোভ দেখিয়ে মাওবাদী ছেলেদের থামানো যাবে না। পোস্টারে আরও দাবি করা হয়েছে যে তারা বনে ফিরবে।
জঙ্গলমহলের এসপি এবং ডিএসপি ইনচার্জকেও জিজ্ঞাসা করা হয়েছে কেন সরকার জঙ্গলমহলের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহল এলাকায় মাওবাদীদের তৎপরতা বেড়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছে রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ।
সুন্দর হাতের লেখায় লাল কালিতে লেখা এই পোস্টারটি শুধু বাঘমুন্ডি এলাকায় নয়, জঙ্গলমহলেও আতঙ্ক তৈরি করেছে। সোমবার পুরুলিয়ার বাগমুন্ডি থানার পুলিশ বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টার বনধের সকালে মাওবাদী নামে একটি পোস্টার উদ্ধার করেছে। যদিও পুলিশ এবং রাজ্যের গোয়েন্দা দফতর এই পোস্টারের পিছনের উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখছে, কিন্তু জঙ্গলমহলের সাধারণ মানুষের কথা বললে এটা পরিষ্কার যে, সরকার যতই মাওবাদীদের রাজ্যে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হোক না কেন, তা হয় না।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পোস্টারগুলোতে সমাজে বিদ্যমান দুর্নীতি এবং সাধারণ মানুষকে অন্ধকারে রেখে সরকারের করা কাজের বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়েছে। শনিবার ঝাড়গ্রাম সহ জঙ্গলমহলের পাঁচটি জায়গায় আবার মাওবাদীদের পোস্টার দেখা গেছে। ঝাড়গ্রাম সহ বিভিন্ন জায়গায় লাগানো পোস্টারগুলি না সরানোর জন্য মাওবাদীরা পুলিশকেও হুমকি দিয়েছে। বলা হয়েছিল, পোস্টার অপসারণ করলে ফলাফল খারাপ হতে পারে। তবে পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে পোস্টার অপসারণ করেছে।
কিছুদিন ধরেই শাসক দলের কিছু দুর্নীতিবাজ মুখের বিরুদ্ধে ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় বিক্ষোভ চলছে। এর সুযোগ নিচ্ছে মাওবাদী সংগঠনগুলো। সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম শহরে সরকারের বিরোধীরা যদি নাগরিক ভোটে জয়ী হয়, তাহলে মাওবাদী হামলার সম্ভাবনা আরও জোরালো হবে। পোস্টারে বেশ কিছু দাবি জানানো হয়েছে। সেই দাবি পূরণ না হলে মাওবাদী হামলা হতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে। তাই পৌরসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রামের মানুষ ও সুশীল সমাজের একাংশ বলেছিল, ঝাড়গ্রামকে মাওবাদী হামলা থেকে বাঁচাতে হলে ওয়ার্ডের সব সময় জনগণের সঙ্গে কাজ করে যাওয়া মানুষকে জয়ী করতে হবে।
No comments:
Post a Comment