সমবায় সমিতিতে ২ কোটি টাকার কারচুপি! গ্রেফতার ম্যানেজার এবং ক্যাশিয়ার
নিজস্ব সংবাদদাতা, ৩০ জুন, হুগলি : অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত একটি সমবায় সমিতির ম্যানেজার এবং ক্যাশিয়ার। ঘটনাটি হুগলি জেলার সিঙ্গুরের। এ ব্যাপারে 'ডেপুটি রেজিস্ট্রার অব কর্পোরাটিভ সোসাইটি' অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতেই এই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার, হুগলি, আমনদীপ বলেছেন যে, "লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপক সুখেন্দু দাস এবং ক্যাশিয়ার কৌশিক অধিকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমবায় সমিতির ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সিঙ্গুরের গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার খাসেরচক চকগোবিন্দ সমবায় সমিতির গ্রাহকরা দীর্ঘদিন ধরে জমা করা টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করে আসছিলেন।
টাকা না পাওয়ার ঘটনায় গোপালনগর এলাকার মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বামপন্থী কৃষক সংগঠনগুলি দরিদ্র মানুষের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবীতে মিছিল করছিল। কয়েকদিন আগে হুগলির সাংসদ লকেট চ্যাটার্জিও প্রতিবাদী গ্রাহকদের সঙ্গে দেখা করেন।
সমবায় সমিতির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
এ ব্যাপারে সমবায় ব্যবস্থাপনা কমিটির সেক্রেটারি অশোক কুমার দাসও অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরপর ১৬ জুন সিঙ্গুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে সুখেন্দু ও কৌশিককে গ্রেফতার করা হয়। চুনচুদা বিশেষ আদালত তাকে চারদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কারচুপির ঘটনায় সুখেন্দু ও কৌশিক একে অপরের দিকে আঙুল তোলেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, “ডিআরসিএস-এর তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। সমবায় সমিতির ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার প্রায় দুই কোটি ২৯ লাখ টাকা লোপাট করেছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে আইপিসির ৪০৬ এবং ৪২০ ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু হয়েছে। কীভাবে তিনি এত টাকার অপব্যবহার করলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
সিঙ্গুর বিজেপি নেতা মধুসূদন দাস বলেছেন, “এটা বিশ্বাসযোগ্য নয় যে এত বড় ঘটনার সঙ্গে শুধুমাত্র ম্যানেজার এবং ক্যাশিয়ার জড়িত। তৃণমূল পরিচালিত পর্ষদও এর সঙ্গে জড়িত। বোর্ডের অনুমতি ছাড়া কোনও কিছুতেই পাস করা যাবে না।"
বিজেপির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল কমিটির সভাপতি গোবিন্দ ধারা বলেন, “পরিচালন কমিটিকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে। বোর্ড কোনওভাবেই এর সঙ্গে যুক্ত নয়। আইনি উপায়ে তদন্তে বোর্ডের কোনও সদস্যের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে তার শাস্তি হবে। এতে কোনও ধরনের অন্যায় দল বরদাস্ত করবে না।"
No comments:
Post a Comment