গড়হাজির শিক্ষিকা-নিম্নমানের খাবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে, বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ২৮ ফেব্রুয়ারি: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গড়হাজির শিক্ষিকা, খোলা আকাশের নিচেই চলছে সেন্টার, দেওয়া হচ্ছে নিম্নমানের খাবার, বিক্ষোভ অভিভাবকদের। নিম্নমানের খাবার দেওয়ার কথা মেনে নিলেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ। 'কাটমানি পায়নি বলে তৃণমূল নেতা অভিযোগ মেনে নিয়েছে', খোঁচা বিজেপির, শুরু তরজা।
আবারও সামনে এল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল দশা। অভিযোগ, নিয়মিত সেন্টারে আসেন না অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। রাঁধুনীকে দিয়েই চলছে সেন্টার। পাশাপাশি সপ্তাহে একবার কিংবা মাসে একবার শিশু এবং প্রসূতিদের পাতে দেওয়া হচ্ছে ডিম। দীর্ঘ দিন ধরেই খাবারে বেনিয়ম হচ্ছে এই কেন্দ্রে। নিয়ম মেনে তালিকা অনুযায়ী দেওয়া হয় না খাবার। অনেক দিন দেওয়া হচ্ছে শুধু শুকনো ভাত। যেদিন ডিম বা সবজি দেওয়া হচ্ছে তা নিম্নমানের। খোলা আকাশের নিচেই চলছে সেন্টার।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর। বিজেপির অভিযোগ, এর জন্য দায় রাজ্য সরকারের। আর তৃণমূলের নেতা কাটমানি পায়নি বলেই নিম্নমানের খাবারের অভিযোগ মেনে নিচ্ছে। বুধবার ফের নিম্নমানের খাবার দিতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বারোঘরিয়া গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র কার্যত বেহাল দশায় ধুঁকছে। ওই কেন্দ্রের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী দুলালী খাতুন। ওই সেন্টারে নেই কোনও ভবন। খোলা আকাশের নিচেই চলে সেন্টার। সাথে অভিভাবকদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে নিয়ম মেনে দেওয়া হচ্ছে না খাবার। সপ্তাহে কিংবা মাসে একবার করে দেওয়া হচ্ছে ডিম। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী কেন্দ্রে আসেন না। বুধবার দুপুরে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে বিক্ষোভ।
অন্যদিকে দুলালী খাতুন ক্যামেরার সামনে কোন মন্তব্য করতে চাননি। যদিও সিডিপিও আব্দুল সাত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এর পাশাপাশি গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নিম্নমানের খাবার দেওয়ার কথা মেনে নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মালদা জেলা পরিষদ সদস্য রবিউল ইসলাম।
কিন্তু এই ঘটনায় শাসক দলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, জেলা পরিষদের প্রতিনিধি নিজেই মেনে নিচ্ছেন নিম্নমানের খাবার দেওয়ার কথা। এর দায় রাজ্য সরকারের। উনি নিশ্চয় কাটমানি পাননি, তাই অভিযোগ করছেন।
No comments:
Post a Comment