"শুধুমাত্র সনাতন-হিন্দুর উল্লেখই মর্মান্তিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে আসে", বললেন জগদীপ ধনখড়

প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৩ জানুয়ারি : শুক্রবার উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় বলেন যে, "ঔপনিবেশিক মানসিকতার কিছু লোক সনাতনের উল্লেখকে বিভ্রম বলে উড়িয়ে দিচ্ছে।"  তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে ভারতে শুধুমাত্র সনাতন এবং হিন্দুর উল্লেখ 'বিভ্রান্ত' লোকেদের কাছ থেকে মর্মান্তিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।  উদ্বেগ প্রকাশ করে উপরাষ্ট্রপতি প্রশ্ন করেন, অজ্ঞতা কি আরও চরমে পৌঁছতে পারে?

 জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) আয়োজিত আন্তর্জাতিক বেদান্ত কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার সময় উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এ কথা বলেন।  তিনি বলেন, এটা পরিহাস ও দুঃখজনক যে ‘সনাতন ও হিন্দুর উল্লেখ’ এদেশে মর্মান্তিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে।  তিনি বলেন, 'এসব শব্দের গভীর অর্থ বোঝার পরিবর্তে মানুষ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখায়।'

 

 জগদীপ ধনখড় আরও বলেন, "যারা শব্দের গভীরতা এবং গভীর অর্থ না বুঝেই এই ধরনের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন তারা 'বিপজ্জনক পরিবেশ' দ্বারা অনুপ্রাণিত।  তাদের গভীর অর্থ বোঝার পরিবর্তে, লোকেরা আবেগপ্রবণভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়, যেন কথা বলার মতো কিছু আছে।  অজ্ঞতা কি আরও বড় চরমে পৌঁছাতে পারে?  তার ভুলের গুরুতরতা কি মেনে নেওয়া যায়?"

উপ রাষ্ট্রপতি বলেন, 'এরা এমন আত্মা যারা নিজেদেরকে বিভ্রান্ত করেছে, একটি বিপজ্জনক বাস্তুতন্ত্রের দ্বারা চালিত হয়েছে যা কেবল এই সমাজকেই নয়, নিজেদেরকেও বিপন্ন করে।' এমন সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, যখন বৈশ্বিক প্রবণতা বেদান্ত দর্শনকে প্রত্যাখ্যান করছে এই দেশে কিছু মানুষ আছে আধ্যাত্মিকতা যারা বেদান্ত ও সনাতনী গ্রন্থকে 'পশ্চাদপসরণকারী' বলে প্রত্যাখ্যান করে।

 তিনি বলেন, 'এই প্রত্যাখ্যান প্রায়শই একটি বিকৃত ঔপনিবেশিক মানসিকতা এবং আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক ঐতিহ্যের অপর্যাপ্ত বোঝার কারণে উদ্ভূত হয়।  এই উপাদানগুলি একটি নিয়মতান্ত্রিক এবং প্রতারণামূলক পদ্ধতিতে কাজ করে।  তারা ধর্মনিরপেক্ষতার বিকৃত রূপের নিচে তাদের ধ্বংসাত্মক ধারণা লুকিয়ে রাখে।  এটা খুবই বিপজ্জনক।  ধর্মনিরপেক্ষতাকে ব্যবহার করা হচ্ছে এ ধরনের অপকর্মকে রক্ষা করতে।  এই জাতীয় উপাদানগুলিকে প্রকাশ করা প্রতিটি ভারতীয়র কর্তব্য।