হাওড়া: বিধ্বংসী আগুন তুলোর গোডাউনে। ঘটনাস্থলে দমকলের ২ টি ইঞ্জিন। ঘটনা হাওড়ার আলমপুর এলাকার। জানা যায়, এদিন এলাকায় একটি তুলোর গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। তবে গাড়িতে জল শেষ হয়ে যাওয়াতে গাড়ি দুটি ফেরৎ যায়। এখনও (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, দুটো থেকে আড়াইটে নাগাদ একটি তুলোর গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কারখানায় ভিতরে দাহ্য পদার্থ বিপুল পরিমাণে মজুত থাকার কারণে আগুন আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠে। আপাতত দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে পৌঁছালেও আরও বেশ কিছু ইঞ্জিনের প্রয়োজন হবে বলে মনে করছেন দমকলের আধিকারিকরা। প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে কিনা তাও স্পষ্ট ভাবে বোঝা না গেলেও এর পেছনে অন্তর্কলহ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা বলে দমকল সূত্রে খবর।
বিপুল অঙ্কের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়, যদিও এখনও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি। ঘনবসতি পূর্ন এলাকায় কারখানাটি হওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কারখানায় কর্মরত কর্মী বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তারা পাশের ওয়ারহাউসে কাজ করছিলেন। হঠাৎ আগুন লাগার কথা শুনে বাইরে বেরিয়ে আসেন। পাশের একটি তুলোর কারখানা রয়েছে। সেখানেই আগুন লেগেছে বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, দমকলের দুটো গাড়ি এলেও জল ফুরিয়ে যাওয়ার জন্য আবার তারা ফেরৎ চলে যায়। এখনও আগুন নেভানো সম্ভব হয় নি। যথেষ্ট আতঙ্কেই আছেন তারা। এখানে জলের কোনও উৎস নেই বলেই দাবী করেন তিনি। অপর এক কর্মচারীও একই কথা জানান। তিনি বলেন, দমকলের গাড়ির জল শেষ হয়ে যাওয়াতে আরও সমস্যা বাড়ে। এখনও আগুন জ্বলছে। দমকলের গাড়ি ফের এলে তারপরে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হবে। এর আগে এখানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবী করেন তিনি।
এদিকে আগুন লাগার কারণ তদন্ত সাপেক্ষ বলেই জানান দমকল কর্মীরা। হতাহতের কোনও তথ্য নেই বলেই জানা যাচ্ছে দমকল সূত্রে। পাশাপাশি তুলো ছাড়া অন্য কোনো ধরণের বিস্ফোরণ ঘটেনি বলেই জানা যাচ্ছে। আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কারখানার আশেপাশের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
No comments:
Post a Comment