লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্ম হাতে নিয়ে ইটভাটায় ছুটলেন চাঁচলের মহকুমা শাসক নিজেই। গ্রামীণ এলাকার মহিলারাও রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে তাদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রশাসনের এই পদক্ষেপ।
চাঁচলের মহকুমা শাসক কল্লোল রায় তার দপ্তর থেকে সটান বেরিয়ে পড়েন গ্রাম্য এলাকায় প্রকৃত লক্ষ্মীদের সন্ধানে। ইটভাটায় গিয়ে সেখানকার মহিলা শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ’লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে তারা আবেদন করেছেন কিনা সেই নিয়ে কথা বলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। যারা এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত এখনও নন তাদের হাতে তুলে দেওয়া হল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন পত্র। এছাড়া যাদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এখনও পর্যন্ত নেই তাদেরকে দ্রুত স্বাস্থ্যসাথী কাড পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা।
প্রশাসনের দেওয়া লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন পত্র পূরণ করে মহকুমা শাসকের হাতে তুলে দেন মহিলা শ্রমিকেরা। আবেদনকারী টাকা পাবে বলে আশ্বাস দেন। এদিনের কর্মসূচিতে চাঁচলের মহকুমাশাসক কল্লোল রায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চাঁচল ১ নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সমিরন ভট্টাচার্য, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মনোজিৎ নস্কর ও সোমনাথ মান্না সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
এ বিষয়ে চাঁচলের মহকুমা শাসক কল্লোল রায় জানিয়েছেন, "অনেক শ্রমজীবি মহিলা আছে,যারা কাজ ছেড়ে 'দুয়ারে সরকার' শিবিরে আসতে পারে না।মহিলারা হাতের নাগালে যেন সেই সুবিধা পায়,তাই ইটভাটায় লক্ষ্ণীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম নিয়ে এসছি।প্রায় ২০ জন মহিলা শ্রমিক এই প্রকল্প আবেদন করল বলে জানান মহকুমা শাসক।"
প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ইটভাটার শ্রমিকেরা। মানুষের জন্য সরকার যেন দুয়ারে এসেছে এমনটাই অনুভূতি হল বলে জানিয়েছেন ইটভাটার শ্রমিক আখতারী খাতুন।
No comments:
Post a Comment