আজকে এই প্রতিবেদনে আমার যেই স্থানগুলি সম্পর্কে কথা বলব,একদা সেই স্থানগুলি ছিল জনবসতি সম্পূর্ণ শহর।তবে আজ সেগুলি নির্জন জনশূন্য।
১.ইউক্রেনের শেরনোবিল পাওয়ার স্টেশনের কাছে অবস্থিত এই শহরটি আজ জনশূন্য। ৮০ এর দশকে, এই শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত শ্রমিকদের এখানে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু ২৬ এপ্রিল ১৯৮৬ সালে, পারমাণবিক কেন্দ্র দুর্ঘটনার কারণে এই জায়গাটি খালি হয়ে যায়। তারপর থেকে এখানে কেউ আসেনি।
২. চৈটেন, চিলি:
চিলির উপকূলের এই এলাকাটি ২০০৮ সালে একটি হ্যারিকেন ঝড় দ্বারা বিধ্বস্ত হয়েছিল। এর পর এখানে বসবাসকারী প্রায় ৪০০০ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে গেছে। এই এলাকাটি গত ৯ বছর ধরে খালি পড়ে আছে।
৩. ভারোশা, সাইপ্রাস:
৪০ বছর আগে তুর্কি সেনাবাহিনীর আক্রমণের পর সাইপ্রাসের এই বড় হোটেলগুলি খালি হয়ে যায়। তারপর থেকে এখানে এখন কেউ আসে না।
৪. টাইনেহাম, ইংল্যান্ড:
ইংল্যান্ডের এই ছোট্ট গ্রামটি একসময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হত। এখানে সেনাবাহিনীর সৈন্যরা প্রশিক্ষণের জন্য আসতেন যাতে তারা যুদ্ধের অনুশীলন করতে পারে। তবে সেনাবাহিনীর দখলের পর এখানে কেউ বসবাস করতে আসেনি। পরে সেনাবাহিনীও চলে যায় এবং বাসিন্দারাও। তারপর থেকে এটি জনশূন্য।
৫. গুনকানজিমা, জাপান:
এই কয়লা খনি শহরটি ১৯৫৯ সালে বেশ প্রাণবন্ত ছিল। কিন্তু পেট্রোলিয়ামের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়লার বাণিজ্য কমে যায়। আর এই এলাকা শূন্য হয়ে পড়ে।
৬. কঙ্গবাশি, মঙ্গোলিয়া:
মঙ্গোলিয়ার কাংবাসি শহর 'ঘোস্ট টাউন' নামেও বিখ্যাত। এখানে অনেক বড় বড় অ্যাপার্টমেন্ট আছে যেখানে লাখ লাখ মানুষ থাকতে পারে। কিন্তু আজ এটি নির্জন।
৭. ক্র্যাকো, ইতালি:
ইতালির এই বিখ্যাত হিল স্টেশনটি একসময় পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। কিন্তু এখানে এল প্রাকৃতিক দুর্যোগের বন্যা। প্রথমে ভূমিধস, তারপর বন্যা এবং সবশেষে ভূমিকম্প এই সুন্দর পাহাড়ি স্থানটিকে করে তুলেছে অনুর্বর।
৮. কায়াকয়, তুরস্ক:
গ্রীস ও তুরস্কের যুদ্ধের ফলে এই গ্রাম জনশূন্য হয়ে পড়ে। এখানকার বেশির ভাগ বাড়িই ছিল পাথরের তৈরি। কিন্তু আজ এখানে কেউ থাকে না।
৯. বডি, ক্যালিফোর্নিয়া,ইউএসএ:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার বডি শহরে ২০০০টি বাড়ি ছিল, যেখানে প্রায় ৭০০০ লোক বাস করত। কিন্তু ১৯৪০ সালের পরে, এটি এখান নির্জন।
No comments:
Post a Comment