এফপি অনুসারে, শ্রীলঙ্কায় প্রায় 51 বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ রয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে চীন, কারণ তারাই সবচেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। শ্রীলঙ্কার মোট বৈদেশিক ঋণের প্রায় 10 শতাংশ চীনের। চীনের পর শ্রীলঙ্কার ওপর সবচেয়ে বেশি ঋণ রয়েছে জাপান ও ভারতের।
শ্রীলঙ্কা তার মোট ঋণের 47 শতাংশ ঋণ বাজার থেকে নিয়েছে। একই সময়ে, চীনের ঋণ দেশটির মোট ঋণের প্রায় 15 শতাংশ। দেশটিতে রয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের 13 শতাংশ, বিশ্বব্যাংকের 10 শতাংশ, জাপানের 10 শতাংশ এবং ভারতের 2 শতাংশ।
ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি মুডি'স-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ফেব্রুয়ারির শেষে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় $2 বিলিয়ন ছিল, যা আমদানির দুই মাসেরও কম মূল্যের। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কম থাকায় সরকার আমদানি নিষিদ্ধ করেছিল। এ কারণে দেশে জ্বালানি, দুধের গুঁড়ার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ঘাটতি দেখা দেয় এবং মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কে পৌঁছেছে।
শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী আলি সাবরি বলেছিলেন যে জ্বালানি ও ওষুধের সরবরাহ মসৃণ করতে এবং অর্থনৈতিক সংকট পরিচালনা করতে শ্রীলঙ্কার আগামী ছয় মাসে প্রায় 3 বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হবে।
22 মিলিয়ন জনসংখ্যার শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি গত কয়েক মাস ধরে খুব খারাপ রয়েছে। দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র ঘাটতির কারণে পেট্রোল-ডিজেল আমদানি হচ্ছে না। কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাট, পেট্রোল পাম্পে দীর্ঘ লাইন।
বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নামছে এবং প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের ওপর চাপ বাড়ছে। দেশটির সংসদের স্পিকার সম্প্রতি বলেছিলেন, দেশের মানুষ অনাহারে চলে এসেছে।
শ্রীলঙ্কা তার ঋণ পুনঃনির্ধারণ করার জন্য চীনের কাছে আবেদন করেছিল, কিন্তু চীন স্পষ্টভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। চীনের ঋণের জালে আটকে থাকা আরও অনেক দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও থমথমে। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, মাদাগাস্কার, মালদ্বীপ ও তাজিকিস্তান।

No comments:
Post a Comment