ভারতীয় সেনাবাহিনী চীনা ভাষা ম্যান্ডারিন শেখার প্রতি মনোনিবেশ করছে। এর পাশাপাশি সৈন্যদের চীন সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হবে, যাতে তারা তাদের কাজের পদ্ধতি এবং কৌশল সম্পর্কে জানতে পারে। হাইব্রিড যুদ্ধের যুগে তথ্যকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হিসাবে দেখা হচ্ছে, তাই ভারতীয় সেনাবাহিনী এই ফ্রন্টে মনোযোগ দিচ্ছে।
সেনাবাহিনীর এই প্রচেষ্টাকে লাদাখে চীনের আগ্রাসনের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। প্রায় দুই বছর আগে পূর্ব লাদাখে ভারত ও চীনের সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল, যাতে আমাদের দেশের ২০ জন জওয়ান শহীদ হয়। এছাড়া চীনা সৈন্যরাও বিপুল সংখ্যক নিহত হয়েছে।
সম্প্রতি সেনাপ্রধান এম এম নারাভানেকে একটি প্রেজেন্টেশন দেওয়া হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে ম্যান্ডারিন শেখার কথা। এর আওতায় সেনাদের ম্যান্ডারিনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ম্যান্ডারিন শেখানো হবে, যাতে চীনের ভাষা বোঝে এমন মানুষ তৈরি করা যায়।
এখনও পর্যন্ত, পূর্ব লাদাখে সেনা মোতায়েন কমানোর কোনও ইঙ্গিত চীন থেকে পাওয়া যায়নি। এই ইস্যুতে সম্প্রতি ভারত সফর করা চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-কেও একটি কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছিল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে, যতক্ষণ না সীমান্তে সেনা মোতায়েন এবং উত্তেজনা কমছে, ততক্ষণ পর্যন্ত দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারবে না।
এদিকে আগামী ১৮ থেকে ২২ এপ্রিল সেনা কমান্ডারদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ সময় সেনাপ্রধান অপারেশন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। এছাড়াও, 3,488 কিলোমিটার দীর্ঘ LAC সীমান্তে অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পর্কেও জানবেন। ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ থেকে কী শিক্ষা মিলেছে, তা নিয়েও আলোচনা হবে এই সম্মেলনে।
এ সময় রাশিয়া-ইউক্রেনের মতো যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে ভারত কী পদক্ষেপ করবে, তা নিয়ে পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। মূলত সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব চায় সৈন্যরা চীনের ভাষা বুঝুক এবং সে সম্পর্কে যতটা সম্ভব তথ্য লাভ করুক।
প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র গত বছর, সেনাবাহিনী তার কিছু সৈন্যদের জন্য তিব্বতবিদ্যার ওপর একটি কোর্স শুরু করেছিল।

No comments:
Post a Comment