উত্তরপ্রদেশের কানপুরে তাপদাহ। এর জেরে হাসপাতালগুলোর অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। মঙ্গলবার হালতের ওপিডিতে রোগীর উপচে পড়া ভিড় তিন হাজার ছাড়িয়ে যায়। ডায়রিয়া ও গ্যাস্ট্রোজনিত সমস্যার কারণে ছয় ঘণ্টায় ২২ জন রোগীকে হ্যালেট ইমার্জেন্সিতে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সময় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করে নিবিড় পরীক্ষা করা হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, হল্ট ইমার্জেন্সি শেষ হয়েছে। রোগীদের প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে ওয়ার্ড-১ এর ওয়ার্ডেও জরুরি রোগীদের ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে। বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৩০৮৯ জন রোগীর খবর পাওয়া গেছে বলে ওপিডিতে রোগীর আগমন অনুমান করা যায়। প্রফেসর রিচা গিরি জানান, তার ওপিডিতে রেকর্ড ৩৭০ রোগী দেখা গেছে। ভর্তি হয়েছে ২২ জন।
পাকিস্তানে তৈরি হওয়া ওয়েস্টার্ন ডিস্টার্বেন্সের প্রভাব শহরের আবহাওয়ায় দেখা দিতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন ধরে ঝলসে যাওয়া শহর মঙ্গলবার কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। চার দিন পর, এয়ার ফোর্স ওয়েদার স্টেশনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৪ এর নিচে ছিল ৪২.২ ডিগ্রি এবং সিএসএ সেন্টারে সাত দিন পর তা ৪০-এর নিচে ৩৯.৬ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধূলিঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত হালকা বৃষ্টি হবে। এপ্রিলে মে-জুন মাসের মতোই পারদ চড়ছিল। মার্চ মাসেও একই রকম আবহাওয়া ছিল। অনেকদিন পর মঙ্গলবার কিছুটা স্বস্তি পেল। তাপের গতি কম ছিল এবং বাতাসে তাপও কম ছিল। সকাল থেকে পরিবেশটা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা নরম ছিল।
এয়ার ফোর্স ওয়েদার স্টেশনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৪ এবং CSA-তে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ বাতাসের গতিতেও প্রভাব পড়েছে। তবে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত দিনগুলি খুব গরম এবং রাতগুলি স্বাভাবিক ছিল।
সিএসএ আবহাওয়াবিদ ডঃ এসএন সুনীল পান্ডে জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রা ১ থেকে ৪ ডিগ্রি কমতে পারে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি মিলবে। প্রবল বাতাসও বইতে পারে।

No comments:
Post a Comment