মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) প্রধান রাজ ঠাকরে আবারও লাউডস্পিকারের ইস্যু তুলে শিরোনামে। তিনি সম্প্রতি মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার সরানোর বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন, যার পরে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়।
তিনি তার সর্বশেষ বিবৃতিতে বলেছেন যে, লাউডস্পিকার থেকে শিশুদের কষ্ট দেওয়া উচিৎ নয়। এর জন্য আমার বিরুদ্ধে মামলা হলে কিছু যায় আসে না।' তিনি বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ১২৫টি মামলা রয়েছে।' রাজ ঠাকরে বলেন, 'মুসলমানদের যদি প্রার্থনা করতে হয়, তবে তা তাদের বাড়িতে করুন, রাস্তায় নয়। আলটিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩ তারিখ ঈদ, সেই সময় পর্যন্ত লাউডস্পিকার না উঠলে জায়গায় জায়গায় হনুমান চালিসা বাজানো হবে।'
তিনি বলেন যে, 'মহারাষ্ট্র সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে আমার অনুরোধ, আমরা কোনও দাঙ্গা চাই না, আমরা কোনও বিদ্বেষ চাই না, আমরা মহারাষ্ট্রের শান্তি বিপন্ন করতে চাই না। কিন্তু আজ ১২ তারিখ। ১২ থেকে ৩ মে, মহারাষ্ট্রের সমস্ত মসজিদের মৌলভীদের ডেকে বলুন, ৩ তারিখের মধ্যে সমস্ত মসজিদের লাউডস্পিকার সরিয়ে ফেলতে হবে।'
রাজ ঠাকরে আরও বলেন, 'যদি লাউডস্পিকার নামিয়ে দেন, তাহলে ৩ তারিখের পর আমাদের তরফ থেকে কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু লাউডস্পিকার যদি না নেমে আসে, সরানো না হয়, তাহলে সেখানে লাউডস্পিকারে হনুমান চালিসা বাজানো হবে। আর হনুমান চালিসায়ও যদি না হয়, তাহলে আমার পরবর্তী পরিকল্পনা তৈরি, তার দরকার যেন না পড়ে।'
রাজ ঠাকরে বলেন, উৎসব একদিনের এবং ৩৬৫ দিন উদযাপন করা যায় না। তিনি বলেন,' দাঙ্গা নয়, সুন্দর পরিবেশ চাই।' ঠাকরে বলেন যে, 'মুসলিম ভাইদের মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার নামানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।'
উল্লেখ্য, রাজ ঠাকরে ২রা এপ্রিল শিবাজি পার্কে গুড়ি পাড়ওয়া সমাবেশের সময় বলেছিলেন যে, তিনি মসজিদের উপরে লাউডস্পিকার থেকে আজানের উত্তর হনুমান চালিসা দিয়ে দেবেন। এরপর তা নিয়ে দেশব্যাপী বিতর্ক শুরু হয়।
শরদ পাওয়ারকে নিশানা করে রাজ ঠাকরে বলেন যে, 'তিনি বারবার তার ভূমিকা পরিবর্তন করেছেন। আজ আমি হিন্দুত্ব নিয়ে কোনও অবস্থান নিইনি, কিন্তু শারদ পাওয়ার, যিনি সবসময় তার ভূমিকা পরিবর্তন করেছেন, তিনি আজ আমাদের নিশানা করছেন। যখন পাকিস্তানি শিল্পীদের প্রসঙ্গ আসে, তখন আমাদের এমএনএস-ই ছিল সামনের সারিতে।'
রাজ ঠাকরে বলেন, 'মহারাষ্ট্র যদি শিবাজি মহারাজের হয় তবে শারদ পাওয়ার কেন শিবাজি মহারাজের নাম নেন না। ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের পতাকাও গেরুয়া।' তিনি এও বলেন যে, 'মারাঠারা নির্বাচনের আগে সংরক্ষণকে একটি ইস্যু করেছিল কিন্তু এখন কোথায় গেল? এটা শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য উত্থাপিত হয়েছে।'
এখানেই থেমে না থেকে রাজ বলেন, 'এখন এই লোকেরা ওবিসি ইস্যু তুলছে এবং তাদের স্বার্থপরতার জন্য মহারাষ্ট্রকে গর্তে নিয়ে ফেলবছ। এসব কারণে এখনও অনেক মানুষ কারাগারে এবং তাদের সব উৎসব নষ্ট হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে এদেরও জেলে যাওয়া উচিৎ।'

No comments:
Post a Comment