গ্রীষ্ম শুরু হওয়ার সাথে সাথে মহারাষ্ট্রে জল নিয়ে হাহাকার পড়ে গিয়েছে। রাজ্যের বহু জেলার গ্রামে মানুষ ঠিকমতো পানীয় জল পাচ্ছে না। নাসিকের বহু গ্রাম থেকে বেরিয়ে আসছে ভীতিকর ছবি। নারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কুয়া থেকে পানীয় জল আনছে। যদিও সরকারি আধিকারিকদের দাবি, গত বছরের তুলনায় এ বছর নাসিকের পরিস্থিতি ভালো।
নাসিকের রোহিলে গ্রামে একটি কুয়া থেকে জল ভরার একটি ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে। দেখলে অবাক হতে হয় কূপের পাশে নারী ও শিশুদের ভিড়। কূপের কাছে জল ভর্তি করার জন্য প্রচুর পরিমাণে পাত্র রাখা হয়েছে। কূপে জল আছে, কিন্তু তা ভরাট করা সহজ নয়। আসলে প্রচণ্ড গরমের কারণে জলের স্তর অনেকটাই নিচে নেমে গেছে। তাই জল আনতে সিঁড়ির সাহায্যে কূপে নামেন দুই নারী। মানুষ প্লাস্টিকের জল ভরার পাত্র দড়ির সাহায্যে উপর থেকে তাদের কাছে পৌঁছাচ্ছে। এরপর সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে থাকা নারীরা জল ভর্তি করে ওপরে নিয়ে আসছেন। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সামান্য ভুল হলে এই দুই জলে পড়ে যেতে পারেন।
নিউজ এজেন্সি এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সোনালি নামে এক মহিলা যে কূপ থেকে জল আনছিলেন, তিনি বলেন, 'মহিলারা 2 কিমি দূর থেকে কুয়ো থেকে জল নিতে আসে৷ আমাদের জলের অভাব। দশম শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়া জানান, পরিবারের জন্য জল আনতে তাকে ক্লাস ছেড়ে যেতে হয়। তিনি বলেন, 'আমাদের গ্রামে জল নেই। তাই আমরা জল আনতে দূর গ্রামে যাই। মাঝে মাঝে এর জন্য আমাকে ক্লাস এড়িয়ে যেতে হয়। এই জলের অভাবের কারণে, আমি একবার পরীক্ষার জন্য দেরি করেছিলাম কারণ আমি অন্য গ্রামের একটি কুয়া থেকে জল আনতে গিয়েছিলাম।
সেচ দফতরের প্রকৌশলী অলকা আহিরাও জানিয়েছেন, এবার জলের ঘাটতি কম। “নাসিকের জলের পরিস্থিতি গত বছরের তুলনায় ভাল। আমরা কালেক্টর অফিস থেকে জলের চাহিদার রিপোর্ট নিয়ে তারপর মানুষের কাছে পৌঁছে দিই। আগামী জুন পর্যন্ত জলের অভাব হবে না।

No comments:
Post a Comment