বাংলাদেশ: নববর্ষের প্রথম দিনেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি ও কালবৈশাখীর দাপটে ঝড়ে গেল ৯ টি তরতাজা প্রাণ। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ওপার বাংলার। স্বজনহারাদের কান্নার রোলে ফিকে নববর্ষের আনন্দ।
বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার বৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছচাপা পড়ে মা-মেয়ে ও ছেলের মৃত্যু হয়। শাল্লা উপজেলায় মাঠে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়। হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে ঘরের ওপর গাছ পড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
বিষেজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে কালবৈশাখীর ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাত যেকোন মুহূর্তে হতে পারে। আকাশের মেঘ এবং বাতাসের গতিবেগ লক্ষ্য করে জনগণকে চলাফেরা করতে হবে। অন্যথায় যেকোনও মুহূর্তে বিপদের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তারা আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে আত্মরক্ষার যে সকল প্রস্তুতি প্রয়োজন, তা মাথায় রেখে কালবৈশাখী এবং বজ্রবৃষ্টির হাত থেকে রক্ষার প্রচেষ্টা করতে হবে। পথচারী এবং খোলা মাঠে কাজ-কর্মে থাকা জনগণকে সচেতনতাই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার অন্যতম প্রধান উপায়।

No comments:
Post a Comment