বাংলায় নারীদের প্রতি অত্যাচারের ক্রমাগত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ও মহাভারত সিরিয়ালে 'দ্রৌপদী'র ভূমিকায় অভিনয় করা রূপা গাঙ্গুলীর বেদনা প্রকাশ্যে এসেছে। এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে, রূপা গাঙ্গুলিকে খুব আবেগপ্রবণ দেখাচ্ছে এবং তিনি বলেন যে সিরিয়ালে দ্রৌপদীর ভূমিকায় অভিনয় করার সময় "বস্ত্র হরণ" দৃশ্যের পরে তিনি অনেক রাত পর্যন্ত মন খারাপ করেছিলেন এবং কেঁদেছিলেন। জনাকীর্ণ সভায় কীভাবে একজন মহিলার জামাকাপড় কেড়ে নেওয়া হয়েছিল এবং লোকেরা হাসাহাসি করছিল এই ভেবে তিনি বিরক্ত হয়ে যেতেন।
উল্লেখ্য, হাঁসখালিতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ, কাকদ্বীপে এক মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে নারীদের ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসছে।
এর আগেও রাজ্যসভায় বাজেট অধিবেশন চলাকালীন বীরভূমের সহিংসতার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন রূপা গাঙ্গুলী এবং আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। বীরভূমের ঘটনার কথা উল্লেখ করে আবেগাপ্লুত হয়ে কাঁদতে শুরু করেন রূপা গাঙ্গুলী। রূপা গাঙ্গুলী বলেন, পুলিশের ওপর ভরসা নেই, একের পর এক মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে মানুষের হাত-পা ভেঙ্গে, পরে ঘরে তালা দিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়।
বুধবার, রূপা গাঙ্গুলী এএনআই নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “ আট দিন পর্যন্ত আমি ওই জীবনটাই অনুভব করছিলাম। ভরা সভায় লোক হাসাহাসি করছে, আমাকে দেখছে, আমাকে বিবস্ত্র করা হচ্ছে। একজন মেয়ে হিসেবে সে যে কি প্রভাব ফেলে তা আমাকে ভাবিয়ে তুলেছিল। সবাই মনে করে যে আমি খুব ভালো অভিনয় করেছিলাম, কিন্তু আমি অভিনয় করি নি। আট দিনে একটা দিনও এমন যায় নি যে রাত ১০টায় হোটেলে ফিরে এসে হাউমাউ করে কাঁদি নি। আজও মনে পড়ে সেই দিনটা কেমন করে কাটিয়েছিলাম।"
অন্যদিকে, রূপা গাঙ্গুলীর বক্তব্যকে সম্পূর্ণ নাটক বলে অভিহিত করেছে তৃণমূল। প্রবীণ তৃণমূল নেতা বলেন যে "আমরা সবাই জানি যে তিনি একজন বড় অভিনেত্রী, তিনি মহাভারতের দৌপদ্রির ভূমিকায় অভিনয় করার সময় তা দেখিয়েছেন।" মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাঁসখালি ধর্ষণ মামলার পরে বলেছিলেন যে এই মামলায় প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং মেয়েটি গর্ভবতী ছিল। এই বক্তব্য নিয়ে তুমুল সমালোচনা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে।

No comments:
Post a Comment