হাঁসখালিতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং কাকদ্বীপে এক মহিলাকে ধর্ষণের পর তোলপাড় এখনও শেষ হয়নি। এর মধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের পিংলার কালুখণ্ডা এলাকায় এক প্রতিবন্ধী মহিলাকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ জানাতে নির্যাতিতাকে তিন ঘণ্টা থানায় বসিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে পঞ্চায়েত অভিজিৎ মণ্ডলকে।অন্যদিকে, শাসক দল প্রথম থেকেই দাবী করেছে, বিরোধীরা তাদের পঞ্চায়েত সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি তন্ময় দাস।
উল্লেখ্য, রাজ্যে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার নির্যাতিতার মা মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যকে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিংলা পুলিশ হেফাজতে নিয়েছিল এবং রাতে গ্রেপ্তার করেছে, যদিও বুধবার কেউ মুখ খুলতে প্রস্তুত ছিল না।নির্যাতিতার বোন জানিয়েছেন যে তিনি এলাকায় একটি মধ্যস্থতা বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে বুধবার আদালতে পেশ করা হবে। এ ছাড়া পিংলা থানা পুলিশ নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেবে। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। মেয়েটির পরিবারের দাবী, ঘটনার রাতে ওই এলাকায় একটি মধ্যস্থতা বৈঠক হয়।
নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি চাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এরপর ইমেইলে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবার। বিজেপি বলছে, অভিযোগকারীকে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হেফাজতে রাখা হয়েছিল। এত কিছুর পর গ্রেফতার হলেন তৃণমূল নেতা। এই ঘটনার পর তৃণমূল নেতাদের মধ্যে অস্বস্তি বেড়েছে।

No comments:
Post a Comment