ঘন ও সুন্দর চুল সবারই কামনা। এই কারণেই আপনি অনেক ব্যয়বহুল চুলের যত্নের চিকিত্সা এবং প্রসাধনী ব্যবহার করেন। আজ আমরা আপনাদের বলব কিভাবে ঘরে বসে কারি পাতা ব্যবহার করে চুলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
চুলে কারি পাতার নিয়মিত ব্যবহার চুলের বৃদ্ধি বাড়ানোর পাশাপাশি চুলকে ঘন ও ঝলমলে করে। আজ আমরা আপনাকে বলি চুলের কোন সমস্যায় আপনি অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ কারি পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের উজ্জ্বলতার জন্য -
আপনার চুল যদি অনুজ্জ্বল বা ক্ষতিগ্রস্থ দেখায় তবে কারি পাতা ব্যবহার করুন। কুসুম ও দইয়ের সঙ্গে কারি পাতার পেস্ট মিশিয়ে চুলে লাগান, আধা ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুলের উজ্জ্বলতা দ্রুত ফিরে আসবে। সপ্তাহে একবার বা দুইবার ব্যবহার করতে পারেন।
প্রাকৃতিকভাবে চুল কালো করুন-
অনেকেরই অল্প বয়সে চুল পাকার সমস্যা শুরু হয়। চুল পাকার একদম শুরুতে কারি পাতা ব্যবহার করলে চুলের বৃদ্ধি কম হবে। এর জন্য কারি পাতার পেস্ট তৈরি করে মেহেদি দিয়ে ব্যবহার করুন।
চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে-
চুল লম্বা করতে চাইলে মেথি, আমলা ও কারি পাতার পেস্ট চুলে লাগান। এই সব জিনিস টাটকা নিন এবং পেস্ট তৈরি করতে পিষে নিন। এই পেস্টটি আধা ঘণ্টা চুলে রাখার পর স্বাভাবিক জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি এই জিনিসগুলি টাটকা না পাওয়া যায় তবে সেগুলি থেকে পাউডার তৈরি করুন।
চুল পড়া দূর করুন-
আপনি যদি চুল পড়ার সমস্যায় অস্থির হয়ে থাকেন, তাহলে তরকারি আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ কারি পাতা নারকেল তেলে ভালোভাবে ভিজিয়ে রাখুন। এবার এই তেলটি ছেঁকে একটি কাচের শিশিতে রাখুন। এই তেল নিয়মিত ব্যবহারে দেখবেন চুল পড়া কমে যাবে।
No comments:
Post a Comment