বাংলায় আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে শক্তিশালী করতে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের জন্য একটি তিন দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। এই সময়ে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বঙ্গ বিজেপিকে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরু মন্ত্র দিয়েছিল এবং পরিকল্পনাগুলি প্রকাশ করেছিল। কেন্দ্রীয় নেতা ও রাজ্যের নবনিযুক্ত পর্যবেক্ষক সুনীল বানসাল বলেন, প্রয়োজনে দল বাড়াতে অন্য দলের নেতা-কর্মীদের নেওয়া হবে। কলকাতার বৈদিক গ্রামে তিন দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির চলছে এবং সেই শিবিরে সুনীল বনসালের বার্তা হল দলের অন্য নেতাদের জন্য দরজা খোলা রাখা। শুধু তাই নয়, অন্যান্য দলের নেতাদেরও যথাযথ সম্মান দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন বনসাল।
এর আগে, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র নেতৃত্বে বঙ্গ বিজেপি এই নীতির পথ অনুসরণ করছে বলে মনে হচ্ছে। 2019 লোকসভা নির্বাচনের আগে, অর্জুন সিং, সৌমিত্র খাঁর মতো অনেকেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও দলে পরিবর্তনের লক্ষণ দেখা যেতে পারে। শুভেন্দু অধিকারী সহ আরও অনেকে শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যদিও বিধানসভা নির্বাচনের পর বহু নেতা শাসক দলে ফিরেছেন। কিন্তু বিজেপি এবারও সেই সূত্র ধরে রেখেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, দেশের অনেক রাজ্যেই নিজেদের শক্তি বাড়াতে এই ফর্মুলা অবলম্বন করছে বিজেপি। দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলকে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া চলছে। বাংলায়ও একই কৌশল অবলম্বন করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে একই বার্তা নিয়ে যাবেন সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী।
গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে প্রশিক্ষণ শিবির। সেই শিবিরে অমিত মালব্য সহ রাজ্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসাল উপস্থিত রয়েছেন।এ ছাড়াও রাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ সহ বহু রাজ্য নেতা যোগ দিয়েছেন। মূলত দলের শৃঙ্খলা ও আদর্শের বার্তা দিতেই দলের পক্ষ থেকে এই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নেতাদের দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার বার্তাও দেওয়া হয়েছে। বিজেপি নেত্রী যাতে শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ না করেন সেজন্য এই বার্তা দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment