ঝাড়খণ্ডের মতো একটি ঘটনা সামনে এসেছে খান্ডোয়াতেও। এখানে এক তরফা প্রেমের জেরে এক উন্মাদ প্রেমিক যুবতীর ঘরে ঢুকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে। অভিযুক্ত যুবক ওই গ্রামের কোতোয়ার এবং সম্প্রতি সে অনুকম্পায় এই পদ পেয়েছে। আহত তরুণীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়ের বাবার অভিযোগ, কোতোয়ার মাদকাসক্ত। সে মদ, গাঁজা খেয়ে গ্রামে তোলপাড় সৃষ্টি করে।
খন্ডওয়া জেলার মুন্ডি থানার বাঙ্গারদা গ্রামে সোমবার বিকেলে বাড়িতে একা ছিল 18 বছর বয়সী এক কিশোরী। পুরো পরিবার পাশের ভামোরি গ্রামে একটি পাগড়ি অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। এর সুযোগ নিয়ে অপরিশোধিত প্রেমে পাগল কোতোয়ার বাবলু দেয়াল লাফিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। তার কাছে একটি ধারালো ছুরি ছিল যা দিয়ে সে মেয়েটির গলা কেটে ফেলে। আহত মেয়েটিকে সঙ্গে সঙ্গে মুন্ডি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। যেখান থেকে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খান্ডোয়া জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। আহত মেয়ের বাবা আমান সিং বলেন, অভিযুক্ত কোতোয়ার একজন মাদকাসক্ত এবং সে আমার মেয়ের ওপর হামলা করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
আহত মেয়ের বোন মনীষা জানান, আমি সেলাইয়ের কাজ করি। সোমবার আমার বাবা-মা ভামুরি আন্টির প্রোগ্রামে গিয়েছিল, আমার বোন ভূরি বাড়িতে উপস্থিত ছিল। এরপর বাবলুর বাবা রামদাস হঠাৎ বাড়িতে ঢুকে আমার বোনকে বলেন আমি তোমাকে ভালোবাসি এবং বিয়ে করতে চাই। আমার বোন অস্বীকৃতি জানালে বাবলু তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ঘাড়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। আমি কেঁদেছিলাম এবং তারপর গ্রামবাসীদের সহায়তায় মুন্ডি আমার বোনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
খান্ডওয়ার পুলিশ সুপার বিবেক সিং জানিয়েছেন, অভিযুক্ত বাবলুর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য তল্লাশি চলছে। বর্তমানে আহত তরুণীকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

No comments:
Post a Comment