আচার্য চাণক্য তার নীতিতে কিছু কাজ না করার পরামর্শ দিয়েছেন। এটি জীবনের অপ্রয়োজনীয় ঝামেলা এড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও, কঠিন সময়গুলিও সহজেই কেটে যায়।
মহান পণ্ডিত আচার্য চাণক্য শুধু অর্থনীতি, রাজনীতি, কূটনীতি সম্পর্কেই বলেননি, ব্যবহারিক জীবন সম্পর্কেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেছেন। চাণক্য নীতির এই বিষয়গুলো জীবনে গ্রহণ করলে অনেক সমস্যা এড়ানো যায়। এর পাশাপাশি, এটি কঠিন সময় কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করে। আসুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতি সম্পর্কে জানি যা সংকট কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
সবার সামনে এসব কথা বলবেন না
আচার্য চাণক্য তার নীতি শাস্ত্র চাণক্য নীতিতে বলেছেন যে জীবনে উত্থান-পতন এবং চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে একজন ব্যক্তির কিছু পরিস্থিতিতে ধৈর্যের সাথে কাজ করা উচিৎ এবং সেগুলি কারও কাছে উল্লেখ করা উচিত নয়। আপনার দুঃখ বা সমস্যা সবার সামনে উল্লেখ করা আপনাকে অনেক কষ্টে ফেলতে পারে এবং আপনাকে আরও অসুখী করতে পারে।
চাণক্য নীতি বলে যে যখন ব্যবসায় বড় ক্ষতি হয়, তখন সবার সামনে তা উল্লেখ করবেন না। বরং কারো সামনে এই ক্ষতির কথা না বলাই ভালো। অন্যথায়, লোকেরা আপনার সাথে ব্যবসা করতে লজ্জা পেতে শুরু করবে, এটি আপনার পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে। এছাড়াও আপনি আপনার সম্মান হারাবেন.
- স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দোষ-ত্রুটি থাকা বা রোজ ঝগড়া করা ভালো কিছু নয়। এতে পুরো পরিবারের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। সম্পর্কটা ভালো করার চেষ্টা করলে ভালো হবে।
এছাড়াও সবসময় মনে রাখবেন স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার কথা কাউকে বলবেন না। কিংবা একে অপরের মন্দ বলবেন না। নইলে ঝগড়া শেষ হলেও মানুষের চোখে আপনার ভাবমূর্তি চিরতরে কলঙ্কিত হবে। এছাড়াও, আপনার বিবাহিত জীবন অন্যদের জন্য তামাশা হয়ে উঠবে।
- কোনো কারণে অপমানিত হলে এই কথা কাউকে বলবেন না। নিজের অপমান নিজের ভিতরে রাখা ঠিক আছে, সবাইকে জানানো মানে তাদের চোখেও আপনার সম্মান কমানো।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।

No comments:
Post a Comment