কার্গিল যুদ্ধের এক সেনা পাইলটের অনুপ্রেরণামূলক জীবন কাহিনী - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 1 December 2022

কার্গিল যুদ্ধের এক সেনা পাইলটের অনুপ্রেরণামূলক জীবন কাহিনী

 






  ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৯৯ সালে ঐতিহাসিক কার্গিল যুদ্ধ হয়।  ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট কামবামপতি নচিকেতা, ২৬, আইএএফ ডাল-৯-এ যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাটালিক এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন।  নচিকেতাকে ১৭,০০০ ফুট উচ্চতা থেকে শত্রুর সঙ্গে লড়াই করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।


 ২৭ মে ১৯৯৯ তারিখে, নচিকেতা তাঁর যুদ্ধবিমান মিগ-২৭ দিয়ে গুলি চালালে তাঁর ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়।  অনেক চেষ্টা করেও যখন নচিকেতা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে না,তখন তিনি শত্রু অঞ্চলের বরফে ঢাকা পাহাড় মুনথুডালোতে অবতরণ করেন। 


 এরপর পাকিস্তানি সেনারাও তাঁর ওপর আক্রমণ করলে নচিকেতা সাহস সঞ্চয় করে তাঁদের সঙ্গে  লড়াই চালিয়ে যান। তাঁর গুলি শেষ হতে না হতেই শত্রু বাহিনী তাঁকে ঘিরে ফেলে।  


এক সাক্ষাৎকারে নচিকেতা জানান তাঁকে রাওয়ালপিন্ডিতে বন্দী করে রাখা হয়।  দেশের কৌশল জানাতে পাকিস্তানি সেনারা তাঁর ওপর নির্মমভাবে অনেক নির্যাতন করতে থাকে। এমনকি তাঁরা মেরে ফেলতে চাইলেও একজন অফিসারের হস্তক্ষেপে সেই পদক্ষেপ আটকে যায়।


এরপর ওই অফিসারের নির্দেশে নির্যাতন কমে।  নচিকেতা বলেছিলেন যে তিনি ভেবেছিলেন যে তিনি হয়তো আর কখনও স্বদেশে ফিরে আসতে  পারবেন না।


 নচিকেতা জানান ৩রা জুন ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত যুদ্ধবন্দী হিসেবে পাকিস্তানের কারাগারে ছিলেন, কিন্তু আমাদের দেশ, জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ার চাপের কারণে তাঁকে পাকিস্তানের রেড ক্রস সোসাইটির আন্তর্জাতিক কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়।  পরে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। 


 নচিকেতা মেরুদন্ডে আঘাত পান। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নচিকেতা কার্গিল যুদ্ধের সময় জাতির প্রতি অসামান্য সেবার জন্য বায়ুসেনা বীরত্ব পদক পান।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad