'যারা সত্যিই গরীব তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে! এবার জনগণ তৃণমূল নেতাদের ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে মারবে। তারা রাস্তায় বের হলে জনসাধারণ কাপড় খুলে ফেলবে।" প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় 'দুর্নীতি'র অভিযোগ করে শাসক দলের বিরুদ্ধে কার্যত এভাবেই হুঁঙ্কার দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার বর্ধমানে সভা করেন তিনি। তিনি বলেন, “তৃণমূল নেতারা কেন্দ্রের বরাদ্দ তহবিল লুট করেছে। মানুষ তাদের যেতে দেবে না। মারধরের ভয়ে এখন ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন পঞ্চায়েত নেতারা।
উল্লেখ্য, শনিবার মুর্শিদাবাদের তৃণমূল পরিচালিত মালিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ-প্রধান সহ ১৭ জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। তার পরেই সামনে এসেছে দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্য।
দিলীপ বলেন, “এখন মারধরের ভয়ে জনতার কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন! কাউকে ছাড়বেন না। এই পঞ্চায়েতের লোকদের নিম গাছের সাথে বেঁধে রাখুন। খেজুর গাছে বেঁধে হিসাব চান। তাদের করার ধরবেন, প্যান্ট খুলে নেবেন, কারণ তারা যে টাকা চুরি করেছে তা আপনার টাকা। তারা যে গাড়ি কিনছে, তাও আপনার টাকা থেকে।"
শাসক দলের বক্তব্য, দিলীপ ঘোষ জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। এটি কাজ করবে না।' দিলীপ ঘোষ রবিবার 'মন কি বাত' এবং 'সুশাসন দিবস' উপলক্ষে বর্ধমান উত্তর বিধানসভার হীরাগাছি কুলারি গ্রামে গিয়েছিলেন। স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান দেখেন তিনি।
এরপর ওই গ্রামে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করেন দিলীপ। এরপর কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বিজেপি নেতা বলেন, “আমরা বাংলায় সুশাসন চাই। উন্নয়ন চাই। কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার টাকা পাঠালেও সব টাকাই লুটপাট করা হচ্ছে। ১০০ দিনের কাজের পর এবার লুট হয়েছে আবাসন প্রকল্প। আমরা সব বিডিও অফিস ঘেরাও করছি। এটা একটা ভূতের বাড়ি! আবাসন প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। লুটেরা পালানোর চেষ্টা করছে। জনগণের আদালতে আসতে হবে, হিসাব দিতে হবে।"
দিলীপ আরও অভিযোগ করেছেন যে, শাসক দলের নেতারা আবাসন প্রকল্পে কাটছাঁট করেছেন। তিনি বলেন, “যারা সত্যিই দুঃখী, তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। হয় আপনাকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করতে হবে, নয়তো আপনাকে ২০-২৫ হাজার টাকা দিতে হবে। যারা টাকা দেয়নি তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। আমার এলাকার একটি গ্রামে ৪৫০টি নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকা আমরা দিল্লীতে পাঠিয়েছি। তার তদন্ত শুরু হয়েছে।
ভোট বাংলায় পরিবর্তন আনবে বলে দাবী দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বাংলায় পরিবর্তন আসবে। মোদীজির পাঠানো হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হবে। গ্রামের রাস্তা হবে। জল ও বিদ্যুৎ আসবে। স্কুলের মাস্টার, হাসপাতালের ডাক্তার আসবে। নইলে পাঁচ বছরে আবার পেটে তোয়ালে নিয়ে এভাবে ঘুরতে হবে।"

No comments:
Post a Comment