প্রেক্ষাগৃহে ২৪ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে দেব-মিঠুন অভিনীত প্রজাপ্রতি। কিন্তু নন্দনে জায়গা পায়নি এই বাংলা ছবি 'প্রজাপতি', যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ছবিটিতে সুপারস্টার তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী এবং টলিউড নায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দেব মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। বিজেপির অভিযোগ, ছবিটি নন্দনের জায়গা পায়নি, কারণ এতে মিঠুন চক্রবর্তী একটি মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'তৃণমূল না করলে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সুবিধা পাওয়া যায় না। মিঠুন চক্রবর্তীকে ফিল্ম ফেস্টিভেলেও ডাকা হয় না যেহেতু তিনি বিজেপি করেন, আর তাই নন্দনে তার ছবি রিলিজ করারও সুযোগ দেওয়া হয় না।'
অন্যদিকে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'নন্দনে শো না পাওয়ার বিষয়টির কারণ হল আগে থেকেই সেখানের বুকিং সেরে রাখতে হয়। এই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে নেই, হয়তো আগে চিঠি দেওয়া হয়নি তাই নন্দনে সিনেমা দেখানো সম্ভব হয়নি। মিঠুন চক্রবর্তী রয়েছেন বলে শো পেল না, এটা ঠিক নয়। কারণ এখানে তো আমাদের এমপি দেবও রয়েছেন।'
অপরদিকে এই ছবির সহ-প্রযোজক, দেব ওরফে দীপক অধিকারী, এই বিতর্ক থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ছবিটি ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে অনেক একক পর্দা এবং মাল্টিপ্লেক্সে প্রদর্শিত হচ্ছে এবং এটি দর্শকদের কাছ থেকে খুব ভালো সাড়া পাচ্ছে।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ বলেন, 'আমাদের এই ছবিটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলে ভালো হতো। আশা করি আমার পরবর্তী ছবি নন্দনে জায়গা পেতে পারে, আমাদের এই বিষয়ে মন্তব্য করার কিছু নেই।'
নন্দনের সিইও মিত্র চ্যাটার্জি পিটিআইকে বলেন, 'আমাদের একটি ন্যায্য নীতি রয়েছে, আমরা ভালো বাংলা সিনেমার প্রচার করি এবং আমরা সবসময় সেই সময়ে হলের প্রাপ্যতার ভিত্তিতে এই জাতীয় চলচ্চিত্রগুলিকে স্থান দেওয়ার চেষ্টা করি।'
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে, মিঠুন চক্রবর্তী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এমনকি বিধানসভা নির্বাচনেও মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপি প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারও করেছিলেন। এর পর তিনি বাংলা বিজেপির কোর কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
সম্প্রতি তিনি বাংলা সফরে এসে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাংলার ভোটারদের মন জয় করতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মিঠুন চক্রবর্তীকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে বিজেপি। মিঠুন চক্রবর্তী এখন শুধু বিজেপির প্রচারেই নয়, বিজেপির সাংগঠনিক কাজেও অংশ নিচ্ছেন। তিনি বিজেপি কর্মীদের একত্রিত করার চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি, তিনি এও দাবী করেন, তিন ডজনেরও বেশি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তাঁর সাথে যোগাযোগ করছেন।

No comments:
Post a Comment