জমে উঠেছিল মদ্যপানের আসর, কিন্তু পেগ ছোট দেওয়াতেই ঘটে গেল মারাত্মক কাণ্ড! ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন বন্ধুকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কানপুর শহরের গোবিন্দ নগর এলাকার।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নওবস্তা সঞ্জয় গান্ধী নগরের বাসিন্দা চন্দ্রপ্রকাশের রক্তে ভেজা দেহ পাওয়া যায়। মৃত ব্যক্তি গোবিন্দ নগর টি ব্লকের শ্যাম কৃপা অ্যাপার্টমেন্টে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। ফ্ল্যাটের অন্য কর্মচারীদের খবরে পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ।
অন্যদিকে, শনিবার বিষয়টি জানাতে গিয়ে কানপুর পুলিশ আধিকারিকরা বলেন, মৃত চন্দ্রপ্রকাশের সাথে কাজ করা এক যুবকই মাদকাসক্তির প্রতিবাদে তার মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করেছে। পুলিশের তদন্তে জানা যায়, মদের পেগ তৈরিকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত ও নিহতের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। ডিসিপি দক্ষিণ প্রমোদ কুমার বলেন, তদন্তে জানা গিয়েছে, অ্যাপার্টমেন্টের আরেক নিরাপত্তারক্ষী রাজু খুনের পর নিখোঁজ রয়েছেন। পুলিশ রাজুর বিষয়ে তদন্ত করলে এবং নজরদারি ও অন্যান্য দলের সহায়তায় অভিযুক্তকে তার গ্রাম থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এ সময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত প্রথমে মামলার তথ্য অস্বীকার করলেও পুলিশের কঠোরতার পর ঘটনার কথা স্বীকার করেন। অভিযুক্ত জানায়, গভীর রাতে মদ্যপানের সময় মৃত ব্যক্তি তার মদের পেগ ছোট করে ফেলেছিল। এর জের ধরে উভয়ের মধ্যে গালিগালাজ হয় এবং ঝল্লার হাটে তার সহকর্মী নিরাপত্তারক্ষীকে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে নির্মমভাবে খুন করে, পরে সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
ডিসিপি দক্ষিণ প্রমোদ কুমার জানান, অভিযুক্ত যুবক রাজু ৪ মাস ধরে অ্যাপার্টমেন্টে টাইলস ও পাথর বসানোর কাজ করছিল। সেখানেই নিহত নিরাপত্তারক্ষী চন্দ্রপ্রকাশ ও অভিযুক্ত রাজুর বন্ধুত্ব হয়। একইসঙ্গে এই গোটা ঘটনায় অভিযুক্তকে খুঁজে বের করা পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। কারণ তার গ্রামের ঠিকানা কারও কাছে ছিল না, তবে পুলিশ অভিযুক্তের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ঠিকাদার টাকা দেওয়ার কথা জানতে পারে, পরে পুলিশ তার স্ত্রীর ব্যাংক বিবরণ নিয়ে তার গ্রামে পৌঁছে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
No comments:
Post a Comment