জলপাইগুড়ি: পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান ও তার স্বামীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য। ঘটনা জলপাইগুড়ির। জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অপর্না ভট্টাচার্য ও তাঁর স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্যের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই।
শনিবার সকালে জলপাইগুড়ি পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের পান্ডা পাড়ার বাড়ি থেকে অসুস্থ অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাদের দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
২০০০ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন অপর্না ভট্টাচার্য। ফরওয়ার্ড ব্লকের হয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। পরে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দেন তিনি। অপর্না ভট্টাচার্যর স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্য একসময় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য ছিলেন। সুবোধ ভট্টাচার্য সম্পর্কে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চ্যাটার্জীর ভাই। ভাইয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন শিখা দেবী। বর্ষীয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক মহলে।
খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর সহ রাজনৈতিক নেতারা। অর্পনা ভট্টাচার্যের দাদার দাবী, কিছুদিন আগে মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল, সেখানে অশান্তি হচ্ছিল। মনে করা হচ্ছে সেই কারণেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
অপর্ণা দেবীর দাদা বলেন, 'সকালে খবর পেয়ে এখানে ছুটে আসি। দেখি বাথরুম ও রান্নাঘরের পাশে অপর্ণার স্বামী পড়ে আছেন এবং অপর্ণা বিছানায়। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে স্বামীর মৃত্যু হয় এবং পরে অপর্ণার। আমার ধারণা কীটনাশক খেয়েছেন।'
তার ধারণা, মেয়ের বিবাহিত জীবনে সমস্যা এর জন্য দায়ী। তিনি বলেন, '১০-১৫ দিন আগেই তারা মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসেন রাত তিনটের সময়, শ্বশুর বাড়িতে কোনও অশান্তি চলছিল, কিছু নিয়ে প্রেসার দেওয়া হচ্ছিল। সেই নিয়ে মানসিক চাপ ছিল, তাই হয়তো এই পদক্ষেপ।' ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবী করেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেহ ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

No comments:
Post a Comment