অনন্য গ্রাম! না কেউ জুতা-চপ্পল পরেন, না হাসপাতালে যান
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩১ মে: আজকের সময়ে জুতা এবং চপ্পল পরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ, কিন্তু আমাদের দেশে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে জুতা এবং চপ্পল পরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এমনকি কোনও সাংসদ বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গ্রামে এলে তাদেরও জুতা-চপ্পল খুলে আসতে হয় গ্রামের বাইরে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল এই গ্রামের মানুষরা হাসপাতালেও যান না। এটি অন্ধ্রপ্রদেশের ভেমানা ইন্দলু গ্রাম, যা তিরুপতি থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে।
এই গ্রামে ২৫টি পরিবার বাস করে। গ্রামের মোট জনসংখ্যা ৮০ জন। গ্রামটি খুব ছোট হলেও এখানকার নিয়ম ও ঐতিহ্য অনন্য। গ্রামের অধিকাংশ পরিবারই নিরক্ষর এবং সম্পূর্ণভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কথিত আছে যে, গ্রামবাসীরা যে কোনও অফিসারের চেয়ে বেশি মান্যতা দেন তাদের দেবতা এবং সরপঞ্চের কথায়।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পালভেকারি জনগোষ্ঠীর লোকেরা এখানে বাস করে এবং নিজেদের ডোরাভারলু বলে পরিচয় দেয়। অন্ধ্রপ্রদেশে এই জাতিটিকে অনগ্রসর শ্রেণীতে রাখা হয়েছে। এখানকার আরও এক নিয়ম রয়েছে; এখানে কেউ হাসপাতালে যায় না। তারা বিশ্বাস করেন, তারা যে ঈশ্বরের উপাসনা করেন তিনি সবকিছু ঠিক করে দেবেন। লোকেরা ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের পূজা করতে তিরুপতিতেও যায় না, কারণ গ্রামেই একটি মন্দির রয়েছে, যেখানে তারা পূজা করেন। অসুস্থ হলে এখানে একটা নিম গাছ আছে, তার পরিক্রমা করেন। কিন্তু হাসপাতালে যায় না।
এই গ্ৰামের নিয়ম এতই কড়া যে, বাইরে থেকে কেউ এলে তাকেও জুতো খুলে গ্রামে প্রবেশ করতে হয়। এমনকি ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদেরও এ নিয়ম কঠোরভাবে পালন করতে হয়। আরেকটি প্রথাও আছে; গ্রামে বাইরে থেকে কেউ এলে তিনি স্নান না করে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি পিরিয়ডের সময় নারীদের গ্রামের বাইরে রাখা হয় এবং সেখানে তাদের সব জিনিস দেওয়া হয়।

No comments:
Post a Comment