দ্রুত ছড়াচ্ছে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস, ভারতের জন্য কতটা ক্ষতিকর?
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০১ জুন: করোনার রেশ কাটেনি, এরই মধ্যে আবার এক ভাইরাসের তাণ্ডব। আমেরিকায় দ্রুত বাড়ছে এইচএমপিভি অর্থাৎ হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাসের প্রভাব। এই ভাইরাসটিও কোভিডের মতো শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ। গত কয়েক মাসে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ শতাংশ বেড়েছে। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ভাইরাস ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। করোনার মতো এটিও ফুসফুসে সংক্রমিত হতে পারে।
সিডিসি অনুসারে, এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে কম আক্রান্ত দেখা গেলেও ভাইরাসটি এখনও ছড়িয়ে পড়ছে। কোভিডের মতো, হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এটি শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এবং যে কোনও বয়সের মানুষকে এর শিকারে পরিণত করতে পারে। এই ভাইরাসের কারণে নিউমোনিয়া হতে পারে, যা মারাত্মক।
এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তিন দিনের মধ্যে এর লক্ষণগুলি দেখা দিতে শুরু করে, যদিও এই ভাইরাসটি কতক্ষণ শরীরে থাকে, তা স্পষ্ট নয়। এটি মূলত রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে।
হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV) ছোট বাচ্চাদের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটাতে পারে। HMPV Paramyxoviridae পরিবারের অন্তর্গত। এর লক্ষণ অন্যান্য ভাইরাসের মতোই। এই ভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই শরীরে আক্রমণ করে।
মেটানিউমো ভাইরাসের কারণ-
HMPV ঋতুগত প্রাদুর্ভাবের কারণ, সাধারণত শীতকালে এটি শ্বাসকষ্টের অসুস্থতার কারণ হতে পারে, বিশেষ করে নবজাতক, ছোট শিশু, বয়ষ্ক এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে এই লক্ষণ প্রকট ভাবে দেখা যায়।
লক্ষণ-
নাক বন্ধ বা নাক দিয়ে জল পড়া
শ্বাসকষ্ট
জ্বর
ক্লান্তি
সর্দি
পেশীতে ব্যথা
ভারতও কি বিপদে পড়তে পারে?
এপিডেমিওলজিস্ট ডঃ অংশুমান কুমার ব্যাখ্যা করেছেন যে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস দশকের পুরনো একটি ভাইরাস। অনেক দেশেই এর সংক্রমণ ঘটতে থাকে, এই ভাইরাসটিও ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো, কিছু দেশে এর আক্রান্ত বাড়তে পারে, কিন্তু ভারতেও এই ভাইরাসের প্রভাব দেখা যাবে এমন নয়। আমেরিকাতেও আগের তুলনায় সংক্রমণ কমেছে। এমন পরিস্থিতিতে চিন্তার কিছু নেই।

No comments:
Post a Comment