সন্দেহের জেরে স্ত্রীর সঙ্গে অমানবিক আচরণ, গ্রেফতার কনস্টেবল
নিজস্ব সংবাদদাতা, ০১ জুলাই, উত্তর ২৪ পরগনা : বিয়ের পর গত কয়েক বছর ধরে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। স্বামী স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে যেতেন। একসাথে ডিনার করতে যেতেন এবং অফিস থেকে তাড়াতাড়ি ফিরতেন, কিন্তু এখন এই সব অতীত। গত কয়েকদিন ধরেই স্ত্রীকে সন্দেহ করতে থাকেন পুলিশ কনস্টেবল স্বামী। প্রথমে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং এখন সে তার চার বন্ধুসহ শ্বশুর বাড়িতে এসে স্ত্রীকে মারধর করতে থাকে। মেয়েকে স্বামীর হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে হাত ভেঙে যায় মার। পুলিশের কাছে অভিযোগের পর ওই কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের মিনাখাঁ থানার চৈতাল গ্রামে।
স্বামী বাড়িতে এলে ঝগড়া, মারামারি করতেন বলে অভিযোগ। এবার শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে প্রকাশ্যে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে মায়ের হাত ভাঙার ঘটনা পুরো এলাকায় আলোচিত হচ্ছে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার চৈতাল গ্রামের বাসিন্দা শম্পা মণ্ডল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের থানার অন্তর্গত চাঁদিপুর এলাকার মৃন্ময় নস্করের সাথে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ে হয়েছে ৬ বছর। কয়েক বছর ভালো যাওয়ার পর দুই জনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়।
ঝগড়ার পর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় স্ত্রীকে
ছোটখাটো যে কোনও বিষয় তাদের মধ্যে ঝামেলার কারণ হয়ে দাঁড়াতো। মৃন্ময় নস্কর রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের একজন কনস্টেবল। বর্তমানে তিনি কাকদ্বীপ থানায় কর্মরত। মৃন্ময় শম্পাকে প্রায়ই মারধর করত এবং বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করত বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, এমনকি একবার তিনি কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, এক সপ্তাহ আগে মৃন্ময় শম্পাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। শম্পা তার বাপের বাড়ি চলে গেল।
এদিন হঠাৎ করে মৃন্ময়সহ চারজন দুটি মোটরসাইকেলে করে শম্পার বাবার বাড়িতে আসেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভেতরে ঢুকে শম্পাকে মারধর শুরু করে। মেয়েকে বাঁচাতে গেলেন মা। পুলিশ কনস্টেবলের জামাই চাকরি বিধি নিয়ে তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ধস্তাধস্তিতে শাশুড়ির হাত ভেঙ্গে যায় এবং শম্পার মাথায় জখম হয়। এরপর তারা ঘরের দরজা বন্ধ করে চিৎকার শুরু করে। আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে তাদের থানায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে মিনাখাঁ থানার পুলিশ গিয়ে মৃন্ময়কে আটক করে। ধৃত পুলিশ কনস্টেবলকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।

No comments:
Post a Comment