'আপনি কি কাঠের পুতুল? তদন্ত করবেন না', মালদা কাণ্ডে ডিএসপিকে বিঁধলেন মহিলা কমিশনের দল
নিজস্ব সংবাদদাতা, ০১ আগস্ট, মালদা : মালদা বামনগোলায় পাকুয়াহাটের ঘটনায় কেন 'ভিকটিম' মহিলাদের গ্রেফতার করা হল? মঙ্গলবার জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি এলাকায় বের হলে পুলিশ আধিকারিকদের এমন প্রশ্ন করেন তিনি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, "আপনারা কি কাঠের পুতুল? তদন্ত করবে না।" পুলিশ আধিকারিকরা জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের জবাবে বলেছেন যে এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
সোমবার হাওড়ার পাঁচলায় 'ভিকটিম' বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার তিনি মালদার মানিকচক পৌঁছান। ওই দুই নারীর বাড়ি সেখানেই।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই বামনগোলার পাকুয়াহাট এলাকায় চোর সন্দেহে দুই নারীকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় দুই নারী ‘ভিকটিম’কে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় গোটা রাজ্যে ঝড় উঠেছে। দুই নারীকে ছয় দিন পর ছেড়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার তার সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মালদা পুলিশের ডিএসপি (ডিএনটি) আজহারউদ্দিন খান।
জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন তাকে জিজ্ঞেস করলেন, "আপনি কি কাঠের পুতুল? আপনি কি চেক করেন যখন ওই দুই নারীকে ছয়দিন সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল, আপনি কি বুঝতে পারেননি যে আপনি ভুল ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছেন? আপনি কি পারবেন সেই নারীর জীবনে ছয় দিন ফিরিয়ে আনতে?"
মালদা জেলা পুলিশ আধিকারিক উত্তরে বলেন, "যদি আমরা এই ঘটনায় কোনও গাফিলতি খুঁজে পাই, আমরা অবিলম্বে ব্যবস্থা নেব।" আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।
মালদার পাকুয়াহাটে মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় জেলা পুলিশ চার পুলিশ অফিসারকে ক্লোজ করেছে। এর মধ্যে রয়েছেন আইসি জয়দীপ চক্রবর্তী, নালাগোলা থানার ওসি মৃণাল সরকার, পাকুয়াহাট থানার ওসি রাকেশ বিশ্বাস এবং এএসআই সঞ্জয় সরকার।

No comments:
Post a Comment