নূহতে ধর্মীয় মিছিলে সহিংসতা! মৃত ৩, আহত ৭ পুলিশ কর্মী
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০১ আগস্ট : হরিয়ানার মেওয়াত জেলার নূহতে, সোমবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং মাতৃশক্তি দুর্গাবাহিনীর ব্রজমণ্ডল যাত্রার সময় হট্টগোল হয়েছিল। দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর পাথর ছোড়া ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। দুর্বৃত্তরা বেশ কয়েকটি গাড়িতেও আগুন দেয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথরও ছোড়া হয়। গুরুগ্রাম পুলিশের ডিসিপি বীরেন্দ্র বিজ জানিয়েছেন, "নুহ-তে গোলমালের মধ্যে দুই হোমগার্ড জওয়ান মারা গেছেন। একই সঙ্গে আহত হয়েছেন ৭ পুলিশ কর্মী।"
সূত্রের খবর, হট্টগোলের পর শোভা যাত্রায় অংশ নিতে আসা প্রায় ২৫০০ মানুষ নলহার মন্দিরে আটকা পড়েন। পুলিশ তাদের উদ্ধার করেছে। কিছু সংবাদমাধ্যমকর্মী মন্দিরে আটকা পড়েছিলেন, তাদেরও বের করে আনা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ২০ জনের বেশি আহত হয়েছে। কোথাও কোথাও গুলি চালানোর খবরও পাওয়া গেছে। এর জেরে গুরুগ্রাম থেকে সোহনা যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
ইন্টারনেট বন্ধ ও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে
পরিস্থিতি সামাল দিতে অন্যান্য জেলা থেকে পুলিশ ফোর্স ডেকেছে নূহ জেলা প্রশাসন। এক হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলার সীমানা সিল করে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক প্রশান্ত পানওয়ার জানান, শান্তি বজায় রাখতে জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ সময় ৫ বা ততোধিক ব্যক্তির জমায়েত, লাইসেন্সকৃত অস্ত্র বা আগ্নেয়াস্ত্র, তলোয়ার, গাণ্ডা, লাঠি, বল্লম, কুড়াল, জেলি, ছুরিসহ অন্যান্য অস্ত্র বহনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। যারা নির্দেশ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা-১৮৮-এর অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গুরুগ্রাম ও ফরিদাবাদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
নূহের সহিংসতার পরে, গুরুগ্রামের সমস্ত স্কুল এবং কলেজ ১ আগস্ট বন্ধ থাকবে। ফরিদাবাদেও সমস্ত স্কুল-কলেজ, কোচিং সেন্টার এবং ইনস্টিটিউট বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে।

No comments:
Post a Comment