'বিয়ের প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার পদ্ধতিগত নকশা', লিভ-ইন-রিলেশনশিপ নিয়ে কড়া মন্তব্য হাইকোর্টের
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর: 'ভারতে বিবাহ-সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার জন্য একটি পদ্ধতিগত নকশা কাজ করছে এবং চলচ্চিত্র এবং টিভি সিরিয়াল এতে অবদান রাখছে', লিভ-ইন পার্টনারকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জামিন দেওয়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য এলাহাবাদ হাইকোর্টের।
টিভি সিরিয়াল ও ওয়েব সিরিজের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কটাক্ষ করে হাইকোর্ট বলেছে, প্রতি ঋতুতে সঙ্গী পরিবর্তনের অবধারণাকে ‘স্থিতিশীল ও সুস্থ’ সমাজের পরিচয় হিসেবে মানা যায় না।" আদালত জোর দিয়ে বলে যে, 'বিবাহ-সংস্থা একজন ব্যক্তিকে যে নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা প্রদান করে তা লিভ-ইন সম্পর্কের থেকে আশা করা যায় না।'
মামলার শুনানিকালে বিচারপতি সিদ্ধার্থের বেঞ্চ মন্তব্য করে, "এই দেশে বিবাহের সংস্থা অপ্রচলিত হলেই লিভ-ইন-রিলেশনশিপ স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হবে, যেমনটি অনেক তথাকথিত উন্নত দেশের ক্ষেত্রে হয় যেখানে বিবাহের সংস্থাকে সুরক্ষা করা তাদের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা ভবিষ্যতে নিজেদের জন্য একটি বড় সমস্যা তৈরির দিকে এগোচ্ছি। অবিশ্বস্ততা এবং স্বাধীন লিভ-ইন সম্পর্ককে একটি প্রগতিশীল সমাজের লক্ষণ হিসাবে দেখা হয়। যুবরা এই ধরনের দর্শনের প্রতি আকৃষ্ট হয় কারণ তারা দীর্ঘমেয়াদী পরিণতি সম্পর্কে অজ্ঞাত।"
আদালত এটাও করে, যে ব্যক্তির পারিবারিক সম্পর্ক সৌহার্দ্যপূর্ণ নয়, তিনি দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে পারেন না। লিভ-ইন সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বিচারপতি সিদ্ধার্থ আরও বলেন যে, "একটি সম্পর্ক থেকে অন্য সম্পর্কে চলে যাওয়া একটি সন্তোষজনক অস্তিত্ব প্রদান করে না এবং এই ধরনের সম্পর্ক থেকে জন্ম নেওয়া শিশুদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।"
বেঞ্চ বলেছে যে, "লিভ-ইন সম্পর্কের মধ্যে জন্ম নেওয়া শিশুরা যখন তাদের বাবা-মা আলাদা হয়ে যায় তখন তারা সমাজের বোঝা হয়ে যায়। তারা খারাপ সঙ্গে পড়ে এবং ভালো নাগরিকদের রাষ্ট্রীয় ক্ষতি হয়। লিভ-ইন-রিলেশনশিপ থেকে জন্ম নেওয়া মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রে, অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে যা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। আদালত প্রতিদিন এই ধরনের মামলা দেখে।"

No comments:
Post a Comment