শনির ধাইয়া-সাড়ে সাতির প্রভাব থেকে মুক্তি দেয় শনিবারের এই পুজো
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর: নয়টি গ্রহের মধ্যে যখনই শনিদেবের কথা বলা হয়, তখনই মানুষের মনে একটা চাঞ্চল্য তৈরি হয়। কারণ কুণ্ডলীতে এর সঙ্গে যুক্ত ত্রুটির কারণে একজন মানুষকে সব ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। হিন্দু ধর্মে, শনি গ্রহকে ন্যায়বিচারের দেবতা এবং কর্মের ফলদাতা হিসাবে পূজা করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, রাজা বা পদমর্যাদা যাই হোক না কেন, শনির দশা এবং সাড়ে সাতি অবশ্যই তার জন্মকুণ্ডলীতে একবার আসে। শনির ধাইয়া ও সাড়ে সাতির ঝামেলা দূর করার সহজ উপায় জেনে নেওয়া যাক এই প্রতিবেদনে -
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যখনই জন্মকুণ্ডলীতে শনি সংক্রান্ত কোনও ত্রুটি দেখা দেয় বা শনির ধাইয়া বা সাড়ে সাতি আসে, তখনই ব্যক্তিকে অর্থনৈতিক, মানসিক এবং শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ব্যক্তির কুণ্ডলীতে শনির ধাইয়া আড়াই বছর এবং সাড়ে সাতি, সাড়ে সাত বছর স্থায়ী হয়।
শনির সাড়ে সাতি তিনটি পর্যায় অতিক্রম করে, যার প্রথম ধাপে একজন ব্যক্তিকে জমি, দালান, সম্পত্তি ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। দ্বিতীয় পর্বকে আরও বেদনাদায়ক বলে মনে করা হয়। সাড়ে সাতির দ্বিতীয় পর্বে, ব্যক্তির অর্থের অভাব থাকে এবং অকারণে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। সাড়ে সাতির তৃতীয় পর্বটি প্রথম দুই পর্বের তুলনায় কম বেদনাদায়ক। কেউ যদি শনির ধাইয়া বা সাড়ে সাতিতে অস্থির হয়ে থাকেন, তাহলে নিচে দেওয়া প্রতিকারগুলো তাঁর জন্য কোনও আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়-
- শনিবার শনি চালিসা পাঠ করুন
- যে কোনও শনি মন্দিরে গিয়ে সরিষার তেলে কালো তিল রেখে প্রদীপ জ্বালান এবং লোহা, তেল, কালো কাপড় বা কালো উরদ দান করুন।
- শনির সাড়ে সাতি থেকে বাঁচতে নিয়ম-কানুন মেনে সাতমুখী রুদ্রাক্ষ পরুন।
- শনিদেবের আশীর্বাদ পেতে শনিবার ধতুরার মূল পরিধান করুন।
- শনিবার সকালে পিপল বা অশ্বথ্ব গাছে জল অর্পণ করুন এবং সন্ধ্যায় গাছের নীচে একটি প্রদীপ জ্বালান।
- হনুমতের পূজা করুন এবং বজরঙ্গবলীর আশীর্বাদ পেতে হনুমান চালিসা পাঠ করুন।
-শনিবার মদ, মাংস, মাছ ইত্যাদি জিনিস খাওয়া বন্ধ করুন।
- প্রতিদিন সূর্যদেবকে জল অর্পণ করুন, এতে শনিদেবও খুশি হন।
- যে কোনও বৃদ্ধ, দরিদ্র, শ্রমিক ও অসহায় মানুষকে সাহায্য করুন।
- পিঁপড়া এবং মাছকে ময়দা খাওয়ান। এটি নেতিবাচক ফলাফল হ্রাস করে।
No comments:
Post a Comment