মিশ্র বাড়ির পুজো; দু'বেলা মাছ ভোগেই তুষ্ট মা
পূর্ব মেদিনীপুর: সামনেই দুর্গা পুজো। বারোয়ারি পুজোর সাথে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বনেদি বাড়ির পুজোগুলোর। এমনই একটি বনেদি বাড়ির পুজো হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দীঘা উপকূলবর্তী রামনগরের মিশ্র বাড়ির পুজো। এখানে মাকে ভোগে দেওয়া হয় মাছের। প্রাক্তন বিধায়কের বাড়ির একচালার প্রতিমায় ঐতিহ্যের ছোঁয়া আজও অটুট।
দীঘা উপকূলের রামনগরের মিশ্র বাড়ির পুজোয় মাকে ভোগে নিবেদন করা হয় মাছ, এতেই তুষ্ট হন মা। রামনগরের এই বনেদি বাড়ির পুজো বহুদিনের, তবে ঠিক কতটা পুরনো, সেটা এই বাড়ির সদস্যদেরও জানা নেই। প্রাক্তন বিধায়ক অবন্তি কুমার মিশ্রের বাড়ির পুজোয় এখনও ঐতিহ্যের ছোঁয়া চোখে পড়ে। একচালার প্রতিমা, ভোগে দেওয়া হয় আমিষ।
প্রাক্তন বিধায়ক অবন্তী মিশ্রের মৃত্যুর পর সেই পুজোর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বর্তমান প্রজন্মের সদস্যরা। অবন্তী মিশ্রের পুত্র বিশ্ব রঞ্জন মিশ্র ও নাতি বিভাস রঞ্জন মিশ্র বলেন, এই পুজো দীর্ঘদিনের। সমুদ্র উপকূলবর্তী রামনগর বিধানসভার বহু মানুষ এই বনেদি বাড়ির পুজো দেখতে আসেন। অষ্টমীতে বিভিন্ন উপাচারে মাকে ভোগ দেওয়া হয়। মায়ের ভোগেও রয়েছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। বিভিন্ন ভাজা থেকে পিঠে এমনকি মায়ের ভোগে দেওয়া হয় মাছ। দুবেলা মাছভুক ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না মায়ের পুজো। পুকুর থেকে মাছ তুলে দেওয়া হয় মায়ের ভোগ।
মিশ্র বাড়ির পুজোর উন্মাদনা মহালয়া থেকেই শুরু হয়েছে। ঠাকুরদালানে শুরু হয়েছে একচালা প্রতিমা গড়ার কাজ। প্রাক্তন বিধায়কের পূজোর শুভ সূচনায় আসেন বর্তমান বিধায়ক। এ বছরও রামনগর বিধানসভার বিধায়ক তথা সংশোধনাগার মন্ত্রী অখিল গিরি আসবেন পুজোর সূচনায়। বর্তমান সময়ে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও পুরনো ঐতিহ্যের রীতিনীতি এখনও অটুট মিশ্র বাড়ির দুর্গা পুজোয়। পুজোর ঘট উত্তোলন থেকে শুরু করে পুজোর রীতিতে রয়েছে নানান অভিনবত্বের ছোঁয়া।
হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন বাকি, আকাশে-বাতাসে পুজোর গন্ধ। মিশ্র বাড়িতে এখন চরম ব্যস্ততা। পুজোর সময় পরিবারের সদস্যরা প্রত্যেকেই ফিরে আসেন বাড়িতে। সমুদ্র উপকূলবর্তী মিশ্র বাড়ির পূজাকে ঘিরে এক আলাদা উন্মাদনা থাকে প্রতি বছর।

No comments:
Post a Comment