মাইগ্রেন সমস্যা বিষয়ক আলোচনা!
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক-২৯-নভেম্বর: মাইগ্রেন হল এক বিশেষ ধরনের মাথা ব্যথা।মাথার যেকোনো এক পাশ থেকে শুরু হয়ে তা পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের শরীরে সেরোটোনিন বা ফাইভ এইচটি-র মাত্রা পরিবর্তত হলে মস্তিষ্কে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়।মাথার বহিরাবরণে যে ধমনিগুলো আছে সেগুলো মাথাব্যথার প্রারম্ভে স্ফীত হয়ে ফুলে যায়। এছাড়াও কারো কারো প্রচন্ড মাথা ব্যথার সঙ্গে বমি,বমিভাব হয় ও রোগীর দৃষ্টিবিভ্রম হয়।
মাইগ্রেনের লক্ষণ:
মাইগ্রেন বয়ঃসন্ধিকাল থেকে শুরু হয় এবং মাঝ বয়স পর্যন্ত কিছু দিন বা কয়েক মাস পর পর হতে পারে।মাথা ব্যথা শুরু হলে তা কয়েক ঘণ্টা,এমনকি কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মাথা ব্যথা,বমি বমিভাব এই রোগের প্রধান লক্ষণ। তবে অতিরিক্ত হাই তোলা,কোনো কাজে মনোযোগ নষ্ট হওয়া,বিরক্তিবোধ করা ইত্যাদি উপসর্গ মাথাব্যথা শুরুর আগেও হতে পারে।
প্রতিকার:
●প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের অভ্যাস করতে হবে এবং সেটা হতে হবে পরিমিত।
●উচ্চ শব্দ ও কোলাহলপূর্ন পরিবেশে বেশিক্ষণ না থাকা।
●অতিরিক্ত বা কম আলোতে কাজ না করা।
●বেশি সময় ধরে কম্পিউটারের মনিটর ও টিভির সামনে না থাকা।
●মাইগ্রেন শুরু হলে প্রচুর পরিমাণে জল পান করা,বিশ্রাম করা,ঠান্ডা কাপড় মাথায় জড়িয়ে রাখতে হবে।
●মাইগ্রেনের ব্যথায় চা,কফি,চকলেট,আইসক্রিম,দই,ডেইরি প্রোডাক্ট।এছাড়াও আপেল, কলা,চিনাবাদাম,পিঁয়াজ ইত্যাদি খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
চিকিৎসা:
মাইগ্রেন চিকিৎসায় দুটো ধাপ রয়েছে-একটি একটি হল এবোরটিব এবং অন্যটি হল প্রিভেনটিব।যাদের বার বার মাথা ব্যথা হয় ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয় তাদের জন্য প্রিভেনটিব। তবে মনে রাখতে হবে যে মাইগ্রেন এক ধরনের প্রাইমারি হেডেক,যা নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব । নিউরোলজিস্ট-এর অধীনে এবং চেকআপের মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা উচিৎ।

No comments:
Post a Comment