'রাজা রামমোহন রায়ের আত্মাও হয়তো আজ এই অবস্থা দেখে কাঁদছে', সন্দেশখালি কাণ্ডে সরব প্রধানমন্ত্রী মোদী
কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও ভোটে দামামা বেজে গিয়েছে। এই আবহেই দু'দিনের বঙ্গ সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সফরের প্রথম দিন অর্থাৎ শুক্রবার হুগলির আরামবাগে প্রধানমন্ত্রীর সভা। আর সেই সভামঞ্চ থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সন্দেশখালি কাণ্ডেও সুর চড়িয়েছেন মোদী। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।
সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মোদী বলেন, 'সন্দেশখালি মহিলাদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা দেখে গোটা দেশ ক্ষুব্ধ। রাজা রামমোহন রায়ের আত্মাও হয়তো আজ এই অবস্থা দেখে কাঁদছে। তৃণমূল নেতারা সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে যা করেছে তাতে দুঃসাহসের সব সীমা পার হয়ে গেছে। সন্দেশখালির মহিলারা মুখ খুলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য চেয়েছেন। বদলে কী পেয়েছেন? বিজেপি নেতারা মা-বোনেদের জন্য দিন-রাত লড়েছেন, মার খেয়েছেন। বিজেপি নেতাদের চাপে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে।'
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'তৃণমূল নেতা দু'মাস ধরে পলাতক ছিলেন, কেউ তো নিশ্চয়ই ছিল যে সাহায্য করেছিল। সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন সন্দেশখালিতে যা হয়েছে তার বদলা নেবেন তো?' তিনি বলেন, 'আজ বাংলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করছেন কিছু মানুষের ভোট মহিলাদের যন্ত্রণার থেকে বড় হল? লজ্জা হওয়া উচিৎ।' তাঁর সংযোজন, 'সন্দেশখালিতে যা ঘটেছে তা দেখে মা-মাটি-মানুষের সরকারের রূপ বেরিয়ে পড়েছে।'
বিরোধী জোটকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, 'আমার সব থেকে বেশি খারাপ লাগে ইন্ডি জোটের বাকি নেতাদের দেখে। ওই জোটের বড় বড় নেতারা সন্দেশখালিতে চোখ-কান-মুখ বন্ধ করে রেখেছেন গান্ধীজীর তিন বাঁদরের মতো এরা বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করে বাম ও কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছেন?'
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, 'তৃণমূল বাংলায় দুর্নীতি আর অপরাধে নতুন মডেল তৈরি করেছে। অপরাধীদের থেকে তৃণমূল নেতারা প্রচুর টাকা পান।'
শাসক দলকে আক্রমণ করে মোদী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতিবাজদের বাঁচাতে ধারণায় বসে যান।কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত আটকাতে চায়। মোদী এগুলোর সমর্থন করে না বলেই মোদীকে তৃণমূল এক নম্বর শত্রু বলে মনে করে।'

No comments:
Post a Comment