জলপাইগুড়িতে মর্মান্তিক দুর্যোগ, ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন রাজ্যপাল
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০১ এপ্রিল, কলকাতা : ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করতে সোমবার সকালে জলপাইগুড়ি যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আজ সকাল ১০টা নাগাদ জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পৌঁছান রাজ্যপাল। ঝড়ে আহতদের খোঁজখবর নেওয়ার পর তিনি ময়নাগুড়ি বার্নিশ গ্রামে যাবেন। তাদের গ্রামের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। তিনি নিহত ৫ জনের বাড়িও যাবেন। রাজ্যপালের আগমনকে কেন্দ্র করে পুলিশের একটি দল হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছে। রাজ্যপালের পর রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর আশার কথা জলপাইগুড়িতে। বিজেপি সূত্রে খবর, আহতদের সঙ্গে দেখা করতে তিনিও ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রামে যাবেন।
রবিবার রাতে সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত সাড়ে ১০টায় বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছে তিনি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান। রাতে জলপাইগুড়ি সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তিনি হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন। রবিবার ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জলপাইগুড়ি ও ময়নাগুড়ির সমস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষতির পরিমাণ নিজেই পরীক্ষা করেন। হোটেলে ফিরতে রাত আড়াইটা হয়। বর্তমানে মালবাজারের চালসায় একটি হোটেলে রয়েছেন মমতা।
এদিকে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ি নিয়ে চিন্তিত রাজভবন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নির্দেশে রাজভবনে একটি জরুরি সেল খোলা হয়েছে। রাজ্যপালের এডিসি মেজর নিখিল কুমারকে এই সেলের নোডাল অফিসার নিযুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার জলপাইগুড়িতে যে ঝড় আঘাত হেনেছে তাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। ঝড়ে জলপাইগুড়ির অনেক জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রবিবার বিকেলে ঝড়ে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অনেক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাস্তার ধারে অনেক গাছ পড়ে আছে। গাছের ডাল পড়ে পিষ্ট হয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গভীর রাতে আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ঝড়ে দোকানপাটসহ বিভিন্ন ঘরবাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে। রাস্তার স্থানীয় লোকজন প্রাণ বাঁচিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়।

No comments:
Post a Comment