কোষ্ঠকাঠিন্যে উপকারী সাদা মটর
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১ মে: সাদা মটর শুধুমাত্র খেতেই সুস্বাদু নয়,এটি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য একটি চমৎকার প্রাকৃতিক প্রতিকারও বটে।
সাদা মটরের কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা -
হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়:
সাদা মটরের মধ্যে উপস্থিত ফাইবার মলত্যাগে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
পূর্ণ বোধ করায়:
ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পূর্ণ বোধ করায়,যা আপনাকে কম খেতে দেয় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
রক্ত বাড়ায়:
সাদা মটর আয়রনের ভালো উৎস,যা হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে এবং রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ:
সাদা মটরে ক্যালরি কম এবং প্রোটিন বেশি,যা ওজন কমাতে এবং বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ:
সাদা মটরে উপস্থিত ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে,যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সাদা মটর কীভাবে খাবেন -
সবজি হিসেবে:
সাদা মটর সেদ্ধ করে,ভুনা করে বা তরকারিতে যোগ করে খেতে পারেন।
স্যালাডে:
স্যালাডে সাদা মটর সেদ্ধ করে বা কাঁচা যোগ করে খেতে পারেন।
পোরিজে:
সাদা মটরের পোরিজ রান্না করে খেতে পারেন।
স্যুপে:
স্যুপে সাদা মটর যোগ করে খেতে পারেন।
ছোলা বা মসুর ডালে:
ছোলা বা মসুর ডালের সাথে রান্না করা সাদা মটর খেতে পারেন।
মনোযোগ দিন -
কোষ্ঠকাঠিন্যের গুরুতর সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সাদা মটর খাওয়ার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে ভুলবেন না।
আপনার যদি কোনও স্বাস্থ্যগত অবস্থা থাকে,যেমন- ডায়াবেটিস বা রক্তচাপের সমস্যা,তাহলে সাদা মটর খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে কোষ্ঠকাঠিন্যের অনেক কারণ থাকতে পারে,যেমন- অপর্যাপ্ত জল পান,কম ফাইবারযুক্ত খাবার এবং ব্যায়ামের অভাব।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে -
পর্যাপ্ত জল পান করুন:
প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস জল পান করার চেষ্টা করুন।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান:
ফল,সবজি,গোটা শস্য এবং ডাল ফাইবারের ভালো উৎস।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন:
ব্যায়াম হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
মানসিক চাপ কমায়:
স্ট্রেস কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে।যোগব্যায়াম,ধ্যান এবং গভীর শ্বাসের ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
সাদা মটর কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে একটি সুস্বাদু এবং প্রাকৃতিক উপায় হতে পারে।কিন্তু মনে রাখবেন যে আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের গুরুতর সমস্যা থাকে,তবে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।

No comments:
Post a Comment