বিশ্বভারতীর হোস্টেলে ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু, পুলিশ পৌঁছতেই পড়ুয়াদের বিক্ষোভ
বীরভূম: আরজি করের ঘাঁ এখনও দগদগে, এরই মাঝে বিশ্বভারতীর আম্রপালি হোস্টেলে এক পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যু। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা। বৃহস্পতিবার হোস্টেল থেকে ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্রীরা, সরব হন নিরাপত্তার দাবীতে। খবর পেয়ে এদিন রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান বীরভূম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (বোলপুর) রানা মুখোপাধ্যায় এবং বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়াল। তাঁদের ঘিরে ধরেও বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হোস্টেল থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে, তিনি উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর বাসিন্দা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ওই পড়ুয়া। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এর পাশাপাশি মৃতার সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
এদিকে, বিশ্বভারতীর কোনও আধিকারিক ছাড়াই হোস্টেলে পুলিশ ঢোকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন আবাসিক পড়ুয়ারা। বিশ্বভারতীর আধিকারিক ছাড়া কীভাবে পুলিশ হোস্টেলে ঢুকল সেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবীও তোলেন। তাঁদের কথায়, "ঘটনা ঘটেছে বিকালে কিন্তু কর্তৃপক্ষের কেউ আসেনি। পুলিশ রাতে আসে, তাও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আধিকারিককে সঙ্গে না নিয়েই। হোস্টেলের গেটে সিসিটিভিও নেই। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি আমরা।"
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বোলপুর) বলেন, 'বোর্ড বসিয়ে কোনও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত করা হবে। এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রমাণ লপাটের ভয়ে হোস্টেলের ঘরটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ডাকা হবে ফরেনসিক দলকে। তদন্তে কোনও ত্রুটি রাখা হবে না।'
অপরদিকে, বিশ্বভারতীর কর্মসচিব অশোক মাহাতো রাতে হোস্টেলে পৌঁছালে, তাঁকে ঘিরে ধরেও বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। অশোক মাহাতো বলেন, 'খুবই দুঃখজনক ঘটনা ওই ছাত্রীর পরিবারকে আমরা খবর দিয়েছি। হাসপাতালে ছিলাম তাই হোস্টেলে পৌঁছাতে দেরি হয়েছে।'
No comments:
Post a Comment