প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩০ অক্টোবর: দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা,যা উপেক্ষা করা উচিৎ নয়।যদি এটি সময়মতো চিকিৎসা না করা হয়,তবে এটি একজন ব্যক্তির জীবনযাত্রার মানকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে।চলুন জেনে নেই দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার কারণ কী হতে পারে এবং কেন তা উপেক্ষা করা উচিৎ নয়।
দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার কারণ -
দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার অনেক কারণ থাকতে পারে।যেমন-
আঘাত:
পুরানো আঘাত বা অস্ত্রোপচারের পরে ব্যথা অব্যাহত থাকতে পারে।
রোগ:
আর্থ্রাইটিস,ফাইব্রোমায়ালজিয়া,ক্যান্সার এবং কিছু স্নায়বিক ব্যাধি দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার কারণ হতে পারে।
স্নায়ুর ক্ষতি:
স্নায়ুর ক্ষতিও দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার কারণ হতে পারে।
মনস্তাত্ত্বিক কারণ:
স্ট্রেস,উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথাকে আরও খারাপ করতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা উপেক্ষা করার বিপদ -
দৈনন্দিন জীবনে হস্তক্ষেপ:
দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা দৈনন্দিন কাজকর্ম,যেমন- কাজ,ঘুম এবং সামাজিক জীবনের সাথে জড়িত হওয়া কঠিন করে তোলে।
মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব:
দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা হতাশা,উদ্বেগ এবং রাগের অনুভূতি হতে পারে।
অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা:
দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা,যেমন- হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়।
ওষুধের নির্ভরতা:
ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে লোকেরা প্রায়শই ব্যথানাশক ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে,যা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা কোথায় হতে পারে?
দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা শরীরের যেকোনও অংশে হতে পারে।যেমন:
পিঠ।
ঘাড়।
মাথা।
কাঁধ।
হাঁটু।
পা।
দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার চিকিৎসা -
দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার চিকিৎসা তার কারণের উপর নির্ভর করে। কিছু সাধারণ চিকিৎসা অন্তর্ভুক্ত-
ওষুধ:
ব্যথা উপশমকারী,পেশী শিথিলকারী এবং প্রদাহ বিরোধী ওষুধ।
শারীরিক থেরাপি:
ব্যায়াম ও অন্যান্য কৌশলগুলি ব্যথা কমাতে এবং গতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
নার্ভ ব্লক:
ব্যথার সংকেত ব্লক করার জন্য ওষুধ স্নায়ুতে ইনজেকশন দেওয়া হয়।
সার্জারি:
কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
আপনার যদি দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা থাকে তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।তিনি আপনার জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করতে পারবেন।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।

No comments:
Post a Comment