প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০১ ডিসেম্বর : বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নৃশংসতা নিয়ে আসামে বিক্ষোভ তীব্রতর হয়েছে। বিক্ষোভ এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে শ্রীভূমি জেলার শত শত সনাতানি ঐক্য মঞ্চের কর্মী বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে মিছিল করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ ও বিএসএফ জওয়ানরা তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এই ইস্যুতে সনাতানি এক মঞ্চ 'বাংলাদেশ চলো অভিযান' শুরু করেছে, যা আসাম জুড়ে চলছে। গণফোরামের কর্মীরা বলছেন, বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর যে অত্যাচার চলছে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সোচ্চার হওয়া উচিত। তাদের অভিযোগ, সেখানকার সরকার ও প্রশাসন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিক্ষোভের সময় শ্রমিকরা উচ্চস্বরে স্লোগান দেয় এবং বাংলাদেশি মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানায়। পুলিশ ও বিএসএফ বিক্ষোভকারীদের সীমান্তের কাছে যেতে বাধা দিলেও সব শ্রমিক বিক্ষোভে অনড় থাকে। এ সময় অনেক স্থানে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে, তবে বিষয়টি শান্ত হওয়ার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার ও নিরাপত্তার বিষয়ে দৃঢ় পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছে সনাতন ঐক্য মঞ্চ। ফোরামটি ভারত সরকারের কাছেও আবেদন করেছে বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিষয়টি তুলে ধরতে এবং সেখানে বসবাসকারী হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার পর গত আগস্টে মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। কারণ সরকার পরিবর্তনের সময় এখানে হিন্দুদের ওপর অনেক হামলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মন্দিরও ভেঙে ফেলা হয়। তবে ভারত সংখ্যালঘুদের ওপর বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশকে আহ্বান জানিয়েছে। সেই সাথে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ধৃত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস সংক্রান্ত মামলা সুষ্ঠু, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে নিষ্পত্তি হবে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ভারত বাংলাদেশ সরকারের কাছে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হুমকি এবং লক্ষ্যবস্তু হামলার বিষয়টি ধারাবাহিকভাবে এবং জোরালোভাবে উত্থাপন করেছে।

No comments:
Post a Comment