প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১ ডিসেম্বর: রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমা দেশগুলির তুলনায় ভারতের যুবকদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার বেড়েছে।যারা সিগারেট,বিড়ি বা অন্য কোনও ধরনের ধূমপান করেন না,তাদেরও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে গেছে।টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় ভারতের তরুণদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার বেড়েছে।যদি আমরা পরিসংখ্যান দেখি,১৯৯০ সালে এই রোগটি প্রতি ১০০,০০০ জনে ৬.৬২ শতাংশ পাওয়া গিয়েছিল,যা ২০১৯ সালে বেড়ে ৭.৭ শতাংশ হয়েছে প্রতি ১০০,০০০ জনে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে ২০২৫ সাল নাগাদ শহরাঞ্চলে ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে। প্রতিবেদনে কারণ সম্পর্কে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে বলা হয় - এর অনেক কারণ রয়েছে,যার মধ্যে বায়ু দূষণ, সেকেন্ডহ্যান্ড স্মোক এবং জেনেটিক কারণ প্রধান।
আক্রান্তদের ২০ শতাংশ কখনও ধূমপান করেননি -
প্রতিবেদনে দূষণ কমাতে সরকারের আরও কঠোর প্রচেষ্টার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।একই সঙ্গে এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করার কথাও বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,বর্তমানে অধূমপায়ীদের জন্য কোনও স্ক্রিনিং নির্দেশিকা নেই,যার ফলে প্রাথমিক পর্যায়ে ফুসফুসের ক্যান্সার শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।এছাড়াও,তদন্তে দেখা গেছে যে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ১০% থেকে ২০% মানুষ কখনও ধূমপান করেননি।
জিনগত কারণও দায়ী -
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,বিশেষ করে যানবাহনের দূষণ মানুষের ফুসফুসকে অসুস্থ করে তুলছে।এছাড়া শিল্প দূষণও এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।একই সঙ্গে অন্যের ধূমপানের কারণে সৃষ্ট দূষণ ও অন্যান্য জেনেটিক কারণে মানুষ ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

No comments:
Post a Comment