কলকাতা: জোর করে মদ্যপান, এরপর নেশাচ্ছন্ন অবস্থার সুযোগ নিয়ে ধর্ষণ। বর্ষশেষের রাতে প্রকাশ্যে বন্ধুত্বের ভয়াবহ পরিণাম। ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ কলেজ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি গড়ফার। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ২১ শে ডিসেম্বরের। তবে, মঙ্গলবার রাতে ওই তরুণী গড়ফা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্ত কলেজ পড়ুয়াকে গ্ৰেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার আকস্মিকতায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন ওই ছাত্রী। তাই অভিযোগ জানাতে দেরি বলে তিনি পুলিশের কাছে দাবী করেন। পুলিশ জানায়, ধৃত যুবক কলকাতার এক নামি কলেজের ছাত্র। তার বাড়ি বাগুইআটিতে। তরুণীও শহরের একটি ইন্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রী। দুজনেরই আলাপ স্কুলে পড়াশোনার সময় থেকে। নির্যাতিতার দুই বছরের সিনিয়ার ছিল ধৃত যুবক। তরুণী পুলিশকে জানায়, দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি তাঁদের পুনরায় যোগাযোগ হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, গত ২১শে ডিসেম্বর এক কমন ফ্রেন্ডের ফ্ল্যাটে তরুণীকে ডেকে পাঠায় অভিযুক্ত। নির্যাতিতার দাবী, সেখানেই তাঁকে মদ্যপান করানো হয় এবং তিনি আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে তাঁকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত যুবক। এরপর রাতেই বাড়ি ফিরে আসে তরুণী। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ার কারণে ১০ দিন পর তিনি গড়ফা থানার দ্বারস্থ হন। যুবকের বিরুদ্ধে মাদক খাইয়ে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নির্দিষ্ট ধারায় মাদক খাইয়ে ধর্ষণের মামলা রুজু করে গড়ফা থানার পুলিশ। এরপরই অভিযুক্তর বাড়িতে তদন্তকারীরা হানা দেয় এবং সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হতে পারে অভিযুক্তকে। অপরদিকে, মঙ্গলবার রাতেই নির্যাতিতা তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়েছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ঘটনার সময়ে তরুণীর পরনের পোশাক। এর পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে বিছানা চাদর সহ আরও কিছু নমুনা তদন্তকারীরা সংগ্রহ করেছেন। নির্যাতিতা ও অভিযুক্তের ওই কমন ফ্রেন্ডকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪-এর আগস্টে আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ খুনের ঘটনায় উত্তাল হয় রাজ্য থেকে শুরু করে গোটা দেশ। এরই মধ্যে আবারও ধর্ষণের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে নারী সুরক্ষা।

No comments:
Post a Comment