প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২ ডিসেম্বর: শীতের মরসুমে আমরা প্রায়ই অনুভব করি যে শরীর কাঁপতে শুরু করে।বিশেষ করে যখন ঠাণ্ডা হঠাৎ বেড়ে যায়।এই দিনগুলিতে দেশের অনেক জায়গায় বৃষ্টির পরে ঠাণ্ডার প্রভাব দেখা যাচ্ছে।শীতে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে গেলে আমাদের খুব অস্বস্তি হতে পারে।কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে একজন মানুষ ঠাণ্ডা লাগলে কেন কাঁপতে শুরু করে?এর পেছনে রয়েছে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক কারণ।আসুনএই বিষয়ে জেনে নেই।
শরীরের তাপমাত্রা -
শীতকালে যখন বাহ্যিক পরিবেশের তাপমাত্রা খুবই কম হয়ে যায় তখন মানবদেহও তা অনুভব করে।শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঠাণ্ডার প্রতিক্রিয়া -
যখন এই তাপমাত্রা ৩৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামতে শুরু করে,তখন শরীরের অভ্যন্তরে একটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া শুরু হয়,যা কাঁপুনি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
কম্পনের বিজ্ঞান -
শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে এই সংকেত শরীরের ত্বক থেকে মেরুদন্ডে পৌঁছে যায়।তখন এই সংকেত পৌঁছে যায় মস্তিষ্কে।এই সংকেতটি বুঝতে পেরে মস্তিষ্ক শরীরকে ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিক্রিয়া জানায় এবং এর ফলে শরীর কাঁপতে থাকে।পেশী সংকোচনের ফলে এই কম্পন হয়।
কাঁপুনিতে শরীরের কী লাভ হয়?
ঠাণ্ডার সময় কাঁপার মূল উদ্দেশ্য হল শরীর গরম রাখা।যখন পেশী সংকুচিত হয় এবং প্রসারিত হয়,তখন এটি শক্তি তৈরি করে,যা শরীরের ভিতরে তাপ উৎপন্ন করে।
এই প্রক্রিয়া শরীরের তাপমাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে, যাতে শরীর তার স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে।কাঁপুনি শরীরের তাপ সংরক্ষণ করে এবং শরীর ঠাণ্ডা পরিবেশ থেকে বাঁচার চেষ্টা করে।
কিভাবে কাঁপুনি কমানো যায়?
যখন শরীর কাঁপতে শুরু করে,এর মানে হল শরীর তার তাপ বজায় রাখার চেষ্টা করছে।যদি ঠাণ্ডা খুব বেশি বেড়ে যায় তবে তা কাটিয়ে উঠতে আমাদের বাহ্যিক তাপ দরকার।এর জন্য একজন ব্যক্তি হিটার,আগুন,গরম কাপড় বা অন্য কোনও পদ্ধতি অবলম্বন করেন যাতে তিনি ঠাণ্ডা এড়াতে পারেন এবং শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে।এছাড়া কেউ কেউ গরম চা,কফি বা স্যুপও পান করেন,যা শরীরকে ভেতর থেকে তাপ দেয় এবং ঠাণ্ডা কমায়।

No comments:
Post a Comment