প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০২ জানুয়ারি: জোড়া খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। বাবা-মাকে খুনের অভিযোগ উঠল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করে। ঘটনাটি ঘটেছে নাগপুরের কপিল নগর এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত প্রথমে সবাইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, বাবা-মাকে খুন করা হয়নি, তারা আত্মহত্যা করেছে। মৃত নাম লীলাধর দাখোল ও অরুণা দাখোল। অভিযুক্ত ছেলে উৎকর্ষ দাখোল, ২৫ বছর বয়স। সে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। পুলিশ জানায়, পড়াশোনায় বারবার ব্যর্থতা এবং কলেজ পরিবর্তনের জন্য তার বাবা-মায়ের চাপের কারণে সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
ডিসিপি জোন ৫ নিকেতন কদম জানান, ১ জানুয়ারি সকালে পুলিশ কন্ট্রোল রুম কপিল নগরের একটি বাড়িতে দুটি মৃতদেহ পড়ে আছে বলে খবর পায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের মধ্যে দুটি রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পুলিশি তদন্তে জানা গেছে যে, ২৬ ডিসেম্বর, উৎকর্ষ প্রথমে তার মাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে, তারপর তার বাবাকে ছুরিকাঘাত করে। এর পর সে অজুহাত দেখিয়ে তার বোনকে বাড়ি থেকে পাঠিয়ে দেয়, যাতে সে ঘটনার বিষয়ে ঘুণাক্ষরেও না জানতে পারে।
অভিযুক্ত ছেলে তার বোনকে বলেছিল যে, মা-বাবা মেডিটেশনের জন্য গিয়েছেন এবং সেখানে মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতি নেই। এরপর তিনি ঘটনাটি আড়াল করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। পুলিশ অভিযুক্ত উৎকর্ষ দাখোলকে গ্রেফতার করেছে এবং মামলার তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়।

No comments:
Post a Comment