প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০২ জানুয়ারি: দিল্লীতে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ: হিস্টোরিক্যাল অ্যাকাউন্ট অফ কন্টিনিউটি অ্যান্ড কানেক্টিভিটি শীর্ষক বইটির প্রকাশ অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারী, ২০২৫) অংশ নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই সময় তিনি ৩৭০ ধারা এবং সন্ত্রাস সম্পর্কে তাঁর মতামত ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি তিনি ইঙ্গিতে এও বলেছেন যে, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরও শীঘ্রই ভারতের অংশ হবে।
তিনি বলেন, "ব্রিটিশ আমলে লেখা ইতিহাসের ব্যাখ্যাই ভুল ছিল। সমগ্র বিশ্বে ভারত এমন একটি দেশ, যা সংস্কৃতির সাথে যুক্ত। এই দেশের ব্যাখ্যা তারা করতে পারবেন না, যারা ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশকে দেখেন। ভারতকে বোঝার জন্য দেশকে জুড়ে রাখে এমন তত্ত্ব বুঝতে হবে। দেশে যে কলা, বাণিজ্য ও সংস্কৃতি কাশ্মীরে ছিল, ধীরে-ধীরে পুরো ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ আগেও ছিল, আজও আছে এবং আগামীতেও থাকবে।"
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "মোদী সরকার ৩৭০ ধারা বাতিল করার জন্য কাজ করেছে। এই ৩৭০, কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদের বীজ বপন করেছিল। ৩৭০ অপসারণের পর সন্ত্রাসবাদের ঘটনা কমেছে। উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদের বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "অনেক সময় মানুষ আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, ৩৭০ ধারা এবং সন্ত্রাসবাদের মধ্যে সম্পর্ক কী? তারা সম্ভবত জানেন না যে, ধারা ৩৭০-ই উপত্যকার যুবকদের মনে বিচ্ছিন্নতাবাদের বীজ বপন করার চেষ্টা করেছিল। মুসলিম আবাদি দেশের অনেক প্রান্তে রয়েছে, তাহলে দেশের কোনও অংশে কেন সন্ত্রাসবাদ আসেনি? আবার তারা পাকিস্তান সংলগ্ন বলে যুক্তি দেয়। এভাবে তো তাহলে গুজরাট, রাজস্থান ও পাঞ্জাবও পাকিস্তান সংলগ্ন। তাহলে শুধু কাশ্মীরেই সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড বেশি কেন?"
অমিত শাহ আরও বলেন, "ধারা ৩৭০ ভারত ও কাশ্মীরের মধ্যে সম্পর্ক অস্থায়ী, এই ভুল ধারণা ছড়িয়ে দিতে কাজ করেছে। এটি বিচ্ছিন্নতাবাদের বীজ বপন করেছিল এবং পরবর্তীতে এটিই সন্ত্রাসবাদে রূপান্তরিত হয়েছে। ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ সন্ত্রাসবাদের বলি হয়েছেন। কাশ্মীরের বিকাশ কয়েক দশক পেছনে চলে গিয়েছে এবং বছরের পর বছর সন্ত্রাসবাদের তাণ্ডব চলেছে। ধারা ৩৭০ অপসারণের পর সন্ত্রাসবাদের ঘটনায় ৭০ শতাংশের বেশি ঘাটতি হয়েছে। আর এটি প্রমাণ করে যে, ধারা ৩৭০ সন্ত্রাসবাদের পোষক ছিল।"
এই সময়ে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ৮,০০০ বছরের প্রাচীন গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে, ভারতের সাথে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক একীকরণের উপর জোর দেন।

No comments:
Post a Comment