প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১ জানুয়ারি: শিশুদের আচরণ তাদের পিতা-মাতার লালন-পালন সম্পর্কে অনেক কিছু বলে।তাই,অভিভাবকদের অবশ্যই তাদের সন্তানদের এমন কিছু শেখাতে হবে যাতে তারা অন্যদের সাথে ভালো আচরণ করে এবং ভবিষ্যতে ভালো মানুষ হতে পারে।আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই জিনিসগুলি কী কী,যা প্রতিটি বাবা-মাকে অবশ্যই তাদের সন্তানদের শেখাতে হবে।
সন্তানদের ভালো ব্যবহার তাদের পিতা-মাতার প্রতিপালন ও কর্মদক্ষতার প্রমাণ।পিতা-মাতার শেখানো ধৈর্য,শৃঙ্খলা এবং মূল্যবোধ শিশুদের আচরণে প্রতিফলিত হয়।শিশুরা যখন অন্যদের সাথে শ্রদ্ধা,ভালোবাসা এবং সহযোগিতা প্রদর্শন করে, তখন এটি পরিবারে দেওয়া মূল্যবোধ এবং নৈতিক মূল্যবোধ দেখায়।এটি স্পষ্ট করে যে শিশুরা সঠিক পথে পরিচালিত এবং অনুপ্রাণিত হলে সমাজে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।আসুন জেনে নেই শিশুদের আচরণের সংশোধন ও উন্নতির জন্য অভিভাবকরা কী করতে পারেন।
শিশুদের আচার-আচরণ উন্নত করতে কী করবেন?
নিজে একজন ইতিবাচক রোল মডেল হোন -
শিশুরা তাদের পিতা-মাতার কাজ এবং আচরণ থেকে পর্যবেক্ষণ করে এবং শেখে।অতএব,আপনি যদি ভালো আচরণ,সততা এবং ধৈর্যের উদাহরণ স্থাপন করেন,তবে শিশুরাও তা গ্রহণ করবে।
অনুভূতি বুঝুন -
শিশুদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং তাদের অনুভূতিকে গুরুত্ব দিন।তাদের প্রশ্ন এবং সমস্যাগুলি গুরুত্ব সহকারে বোঝার মাধ্যমে,তারা আপনার সাথে সংযুক্ত বোধ করবে এবং কখনই আপনার কাছ থেকে কিছু লুকানোর কথা ভাববে না।
পরিষ্কার,ব্যবহারিক নিয়ম তৈরি করুন -
বাড়িতে শৃঙ্খলা এবং শিষ্টাচার বজায় রাখার জন্য শিশুদের পরিষ্কার নিয়ম দিন।অভিভাবকদেরও এই নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।এটি ভারসাম্য বজায় রাখে এবং শিশু এটি গ্রহণ করে ও অনুসরণ করে।
প্রশংসা করুন এবং উৎসাহ দিন -
সন্তানের ভালো কাজ এবং প্রচেষ্টার জন্য তার প্রশংসা করুন।এতে শিশুদের মধ্যে আরও ভালোভাবে অন্যান্য কাজ করার জন্য আত্মবিশ্বাস ও প্রেরণা বাড়বে এবং তারা এগিয়ে যাবে।
শাস্তি না দিয়ে শেখান –
ভুলের উপর রাগ না করে তাদের বুঝিয়ে বলুন কি ভুল হয়েছে এবং কেন হয়েছে।তাদের শেখার সুযোগ দিন।এটি তাদের মধ্যে উন্নতির অনুভূতি জাগ্রত করবে।
নিয়মিত যোগাযোগ করুন -
প্রতিদিন শিশুদের সাথে যোগাযোগ করুন।তাদের ধারণা, রুটিন এবং সমস্যার প্রতি আগ্রহ দেখান।এটি তাদের আপনার কাছাকাছি রাখবে এবং কথা বলতে দ্বিধা করবে না।
দায়িত্ব শেখান -
শিশুদের ছোট ছোট দায়িত্ব দিয়ে আত্মনির্ভরশীল করে তুলুন। যেমন-তাদের খেলনা গুছিয়ে রাখা বা বাড়ির ছোট ছোট কাজে সাহায্য করা।
মানসিক সমর্থন প্রদান করুন -
কঠিন সময়ে তাদের পাশে দাঁড়ান এবং তাদের ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা বিকাশে সহায়তা করুন।
একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করুন -
ঘরের পরিবেশ এমন রাখুন যাতে শিশুরা নিরাপদ ও সুখী হয়। চিৎকার করা এড়িয়ে চলুন এবং কথা বলে সমস্যার সমাধান করুন।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।

No comments:
Post a Comment