নিজস্ব প্রতিবেদন, ০২ জানুয়ারি, কলকাতা : সাতসকালে মালদায় তৃণমূল কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতিকে লক্ষ্য করে চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রয়াত তৃণমূলের সহ সভাপতি বাবলা ওরফে দুলাল সরকার। এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে কাউন্সিলর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। মালদার ব্যস্ত ঝলঝলিয়া মাতাল মোড়ে বাবলার ওপর দুটি মোটরসাইকেলে চড়ে চার দুষ্কৃতী গুলি চালায় বলে অভিযোগ। একটি গুলি তার মাথায় লাগে।
এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার তদন্ত করছেন জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। তদন্তের পর তাকে প্রথমে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেখা যায়।
এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবলা বাবুর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি। আজ নবান্নে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আজ এসপির অপদার্থতার জন্য আমার কাউন্সিলর খুন হল। তাঁর সিকিউরিটিও তুলে নেওয়া হয়েছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে ওনাকে চিনতাম। আগেও তাঁকে অনেকবার হামলা করা হয়েছিল। দুর্ভাগ্য আমাদের। বর্ডার আর কালিয়াচক নিয়ে ব্যস্ত থাকলে জেলার উন্নতি হবে না। ওখানে নিরাপত্তা দিন।"
ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। এতে তৃণমূল কাউন্সিলরকে দোকানে ছুটতে দেখা যায়। দু’জন লোক বন্দুক নিয়ে তাকে তাড়া করে। দোকানের ভেতরে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল নেতার মাথার পেছনে একটি গুলি লাগে। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এই ঘটনার পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আজ সকাল ১০টা নাগাদ অফিস থেকে প্লাইউড কারখানায় যাচ্ছিলেন বাবলা বাবু। এরপর দুটি মোটরসাইকেলে থাকা চার মুখোশধারী দুষ্কৃতী তাকে পেছন থেকে গুলি করে।


No comments:
Post a Comment