প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০২ জানুয়ারি : পরিবর্তনই এই পৃথিবীর নিয়ম। মানুষ থেকে পশু এবং পোকামাকড় থেকে গাছ-গাছালি, পৃথিবীর সবকিছুই বদলে যায়। আবহাওয়া, অবস্থা ও প্রকৃতির পরিবর্তন অনুসারে জীবেরও পরিবর্তন হয়। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা একটি ছোট প্রাণী সম্পর্কে এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন, যা শুনলে অবাক হবেন। এই প্রাণীগুলি আমাদের বিছানা এবং খাটে লুকিয়ে থাকে। আগে হয়ত সহজে মেরে ফেলতেন, কিন্তু এখন ওরা হয়ে গেছে মৃত্যুর সংকেত, কারণ প্রকৃতি অনুযায়ী ওরা এতটাই বদলে গেছে যে এখন ২০ হাজার গুণ বেশি বিপদজনক হয়ে গেছে। তাদের মেরে ফেলা এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে প্রমাণিত হবে।
ডেইলি স্টার নিউজ ওয়েবসাইট অনুসারে, বিজ্ঞানীরা একটি সুপার-পাওয়ারড বেড বাগ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন, যা ২০ হাজার গুণ বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এখন এই বেড বাগ মেরে ফেলা ২০ হাজার গুণ বেশি কঠিন। জাপানের গবেষকরা এ তথ্য জানিয়েছেন। এটি বলা হয়েছিল যে বেড বাগগুলিতে ৭২৯ মিউটেশন হয়েছে যার কারণে এমনকি কীটনাশকও তাদের উপর কোনও প্রভাব ফেলছে না। বেড বাগগুলির খোলস আরও ঘন হয়ে উঠেছে, যার কারণে সাধারণ কীটনাশক বা স্প্রে তাদের উপর কোনও প্রভাব ফেলে না।
হিরোশিমা ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ ইন্টিগ্রেটেড সায়েন্সেসের গবেষকরা একটি সুপার বাগ আবিষ্কার করেছেন যা পাইরেথ্রয়েডের বিরুদ্ধে ২০ হাজার গুণ বেশি প্রতিরোধী। এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরনের কীটনাশক। বিশেষজ্ঞদের দাবী, এই তথ্যের সাহায্যে ব্রিটেন বা বিশ্বের অন্যান্য দেশে ক্রিটারের সমস্যা দূর করা সম্ভব কারণ এই পোকার কারণে তাদের নিয়েও গবেষণা করা যেতে পারে।
বেড বাগ মানুষের মধ্যে কোনও রোগ ছড়ায় না, তবে তাদের কামড়ের ফলে মানুষের মধ্যে ফুসকুড়ি, চুলকানি বা ছোটখাটো সংক্রমণ হতে পারে। বেড বাগ পরিত্রাণ পেতে খুব কঠিন হয়ে ওঠে। একটি স্ত্রী বেড বাগ ৫টি ডিম পাড়তে পারে এবং সারা জীবনে ৫০০ থেকে ৭০০টি ডিম পাড়তে পারে। ইনসেক্ট নামের একটি জার্নালে এই নতুন গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। ডিডিটি-এর মতো কীটনাশক, যা এখন নিষিদ্ধ, ষাটের দশকে বেড বাগের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু ধীরে ধীরে বেড বাগগুলিও বিকশিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঘরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে খাটের পোকা মারা যেতে পারে। কিন্তু এটি মানুষের অসুবিধার কারণ হতে পারে।

No comments:
Post a Comment