রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের জল গড়াল সংসদে, ধনখড়ের অপসারণের জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ তৃণমূল সাংসদের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 31 January 2022

রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের জল গড়াল সংসদে, ধনখড়ের অপসারণের জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ তৃণমূল সাংসদের


রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে। আর এই সংঘাতের জল শেষমেশ গড়াল সংসদ পর্যন্ত। সোমবার সংসদে তৃণমূল সরাসরি রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোভিন্দকে বাংলার রাজ্যপালের পদ থেকে জগদীপ ধনখড়কে অপসারণের অনুরোধ করে। সোমবার সংসদে বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর তৃণমূল লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এ অনুরোধ জানান। 


তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এএনআই-কে বলেন, “আমি রাষ্ট্রপতিকে সরাসরি বলেছি যে, আমি আপনার কাছে বাংলার রাজ্যপালকে অপসারণের অনুরোধ করছি। এটা দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। তিনি সবসময় সবাইকে বিব্রত করএন। তিনি শুনেছেন, তাঁর সঙ্গে ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুও।


উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব অব্যাহত। রাজ্যপাল সম্প্রতি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং আমলাদের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সম্প্রতি বিধানসভা প্রাঙ্গণে তিনি প্রকাশ্যে বিধানসভার স্পিকারের সমালোচনা করেছিলেন।


সংসদের বাজেট অধিবেশন চলাকালীন, তৃণমূল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকারের আইএএস এবং আইপিএস সংক্রান্ত সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধেও একটি প্রস্তাব আনবে টিএমসি। সম্প্রতি তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যপালকে ফেরানোর দাবী জানিয়েছেন।


তৃণমূল কংগ্রেস বিধানসভার আসন্ন বাজেট অধিবেশন চলাকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব আনার বিকল্প বিবেচনা করছে। সূত্র জানায়, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনার সম্ভাবনা নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা চলছে। তৃণমূল কংগ্রেসের একজন বিধায়ক এই সম্পর্কে বলেন, "আমরা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে একটি নিন্দা প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা করছি। তিনি যেভাবে সমাবেশ ও স্পিকারকে অপমান করছেন তা বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন। তবে আমাদের সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞদের সাথেও আলোচনা করতে হবে যে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই জাতীয় প্রস্তাব আনা যায় কিনা এবং এর পরিণতি কী হবে।"


উল্লেখ্য, বাংলার বাজেট অধিবেশনের তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad