৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে খুলবে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শুরু হবে ক্লাস। পাশাপাশি পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পাড়ায় শিক্ষালয়'-এর মাধ্যমে পাঠদান করা হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্য সমস্ত স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে। তবে স্কুল চালু হবে অষ্টম শ্রেণি থেকে। কারণ সরস্বতী পূজা ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি পড়েছে। তাই শিশুরা সরস্বতী পূজায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। শিক্ষকরাও হাতে কিছুটা সময় পাবেন পুজর প্রস্তুতি নেওয়ার। এছাড়াও পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য পাড়ায় শিক্ষালয়ের মাধ্যমেই পাঠ দান করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে প্রাথমিকের জন্য অর্থাৎ প্রি-প্রাইমারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল বন্ধই থাকছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণার পাশাপাশি এদিন করোনা বিধিনিষেধের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাড়িতে থেকে কাজের সীমা বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাত ১০টার পরিবর্তে ১১ টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত করা হয়েছে রাতের কারফিউয়ের সীমা। বার ও রেস্তোঁরাগুলিতে ৫০ শতাংশের জায়গায় ৭৫ শতাংশ উপস্থিতির হার করা হয়েছে। ৭৫ শতাংশ নিয়ে সিনেমা হলও খোলা হবে। সেই সঙ্গে মুম্বই ও দিল্লী থেকে প্রতিদিন বিমান পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্রিটেন থেকে এয়ারলাইন্সের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, করোনার প্রকোপ কমার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই করোনা প্রোটোকলের নিষেধাজ্ঞা ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে এতে অনেক শিথিলতা দেওয়া হয়েছে, কারণ করোনার সঙ্গে সঙ্গে জীবনকেও এগিয়ে নিয়ে চলতে হবে এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও শুরু করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা রাজ্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ও খুলেছি। শুধু তাই নয়, মুম্বই ও দিল্লী থেকে প্রতিদিন ফ্লাইট শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, মাঝে কিছুদিনের জন্য নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাসও শুরু হয়েছিল। কিন্তু তা করোনার কারণে ফের বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমার পর স্কুল-কলেজ খোলার দাবী ক্রমাগতই জোরালো হচ্ছিল।
এসবের পাশাপাশি এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্কুলগুলিতে জয় হিন্দ বাহনী চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্কুলে চালু হবে জয় হিন্দ বাহিনী। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর আদর্শে এটি গঠিত হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment