শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই দুর্বল। তারা সহজেই শারীরিক সমস্যায় পড়তে পারেন। অভিভাবকদের সন্তানদের যথাযথ যত্ন নিতে হবে। শিশুদের বুকে কফ জমে কথা বলতে যাচ্ছি। এই অবস্থাকে বুক কনজেশনও বলা হয়।
এই অবস্থার উদ্ভব হলে, ফুসফুসের নীচের অংশে এবং বায়ুনালীতে শ্লেষ্মা জমতে শুরু করে। এই সমস্যা প্রধানত শীতকালে দেখা যায়। এই সমস্যার কারণে শিশুরা শুধু শ্বাস নিতেই কষ্ট অনুভব করতে পারে না বরং তাদের ঠাণ্ডা, সর্দি ইত্যাদির সম্মুখীন হতে হতে পারে।
এর লক্ষণ ও কারণ জানা জরুরী। শিশুদের মধ্যে কাশির সমস্যা দেখা দিলে কী কী লক্ষণ দেখা যায়। এর পাশাপাশি এর কারণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কেও জানতে পারবেন। হিলিং কেয়ার ইএনটি ক্লিনিক নয়ডার ইএনটি বিশেষজ্ঞ (এমবিবিএস এমএস) ডাঃ অঙ্কুর গুপ্তের দেওয়া ইনপুটগুলির উপর নির্মিত।
শিশুদের মধ্যে কফের লক্ষণ:
শিশুদের কাশি হলে অনেক উপসর্গ দেখা যায়। এই লক্ষণগুলো নিম্নরূপ-
বুকে ব্যথা অনুভব করা।
বুকে ভারী ভাব।
শিশুদের বুকে আঁটসাঁট অনুভূতি।
শিশুদের কাশির সময় মুখ থেকে শ্লেষ্মা নির্গত হয়।
শিশুদের জ্বর হয়।
শিশুদের মাথাব্যথা অনুভব করা।
গলায় ব্যথা বা জ্বালা অনুভব করা।
শিশুদের মধ্যে কফের কারণ:
শিশুদের মধ্যে কফ জমার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। এই কারণগুলো নিম্নরূপ-
ছোট বাচ্চাদের সর্দি লাগলে বুকে কফের সমস্যা লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। এমতাবস্থায় এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঠাণ্ডা সেরে ফেলা প্রয়োজন।
শিশুদের সিস্টিক ফাইব্রোসিসের (জেনেটিক সমস্যা) কারণেও শিশুদের বুকে কফ জমতে পারে। এই কফ বেশ মোটা ও মোটা হতে পারে।
শিশুদের বুকে কফ জমে উপরের শ্বাসনালীর সংক্রমণের সমস্যাও দায়ী হতে পারে। এটি একটি ভাইরাল সংক্রমণ যা শিশুদের নাক, গলা এবং শ্বাসনালীকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
বাচ্চাদের যখন বুকে সর্দি অর্থাৎ তীব্র ব্রঙ্কাইটিস সমস্যা হয়, তখনও তাদের বুকে কফ জমতে পারে। ব্যাখ্যা করুন যে এই সমস্যার সময় শিশুদের ফুসফুসের শ্বাসনালী ফুলে যায়, যার কারণে ফুসফুসে কফ তৈরি হতে থাকে। এই সমস্যাকে বুক কনজেশনও বলা হয়।
শিশুদের মধ্যে কফের চিকিৎসা:
কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে শিশুদের কফের সমস্যা দূর করা যায়। এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো নিম্নরূপ-
শিশুদের শ্লেষ্মার সমস্যা রসুন ব্যবহারে দূর করা যায়। এর সেবনে শুধু সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না, শিশুদের কফও বের হতে পারে।
সর্ষের তেল মালিশও শিশুদের বুক থেকে কফ দূর করতে একটি ভালো বিকল্প। এমন অবস্থায় সর্ষের তেল সামান্য গরম করে মালিশ করা উচিৎ। এতে করে শিশুরা শ্লেষ্মা থেকে মুক্তি পেতে পারে।
হলুদ ব্যবহারে শিশুদের শ্লেষ্মাও ফিরিয়ে আনা যায়। হলুদের প্রভাব গরম, তাই হলুদ খেলে শিশুদের শ্লেষ্মা বেরিয়ে আসতে পারে।
No comments:
Post a Comment